ধনতেরাস কেন সোনা কেনার জন্য শুভ? জানুন এই দিনের ইতিহাস

ধনতেরাস দীপাবলী উৎসবের প্রথম দিন। ধনত্রয়োদশী বা ছোট দীপাবলি নামেও পরিচিত। ধনতেরাস কথাটি থেকেই বোঝা যাচ্ছে যে, এটি ধন সম্পদের সঙ্গে সম্পর্কিত। আশ্বিন মাসের ১৩তম পূর্ণিমা তিথিতে দিনটি পালন করা হয়ে থাকে। এই দিনটি ব্যবসায়ীদের জন্য খুবই পবিত্র একটি দিন। এই দিনে অনেকেই সোনার কয়েন বা গয়না কিনে থাকেন।

ধনতেরাস কীভাবে পালন করা হয়?

ধনতেরাসের সন্ধ্যাবেলা অনেকেই সোনার জিনিস বা জামা কাপড় কিনে থাকেন। সেই সঙ্গে সারা বাড়িতে প্রদীপ জ্বালানো হয়। ভক্তিমূলক গান এবং পুজোর মাধ্যমে লক্ষ্মীদেবীর আরাধনা করা হয়। এছাড়াও, সারা বাড়িতে রঙ্গোলী দেওয়া হয়। রকমারি রান্নাও এদিন করা হয়। দেবী লক্ষ্মী এবং ভগবান শ্রী গনেশ ছাড়াও এদিন কুবেরের পুজো করা হয়। মূলত, সারাজীবন যাতে বিপদমুক্ত এবং শান্তিতে, ধন সম্পন্নভাবে কাটানো যায়, তাই এদিন লক্ষ্মী, গনেশ এবং কুবেরের আরাধনা করা হয়। এছাড়াও, এদিন নানা ধাতুর জিনিস কেনা হয়।

ধনতেরাসের কোন সময়ে সোনা কেনা উচিত?

ধনতেরাসের সময় একটি নির্দিষ্ট সময়ে সোনা কেনা যায়। এই বছর অর্থাৎ, ২০১৯ সালে ২৫ অক্টোবর দিনটি যেমন সোনা কেনার জন্য খুবই শুভ।

ধনতেরাসের ইতিহাস?

কথিত আছে, রাজা হেমার ১৬ বছর বয়সি পুত্রের যখন কুষ্ঠি তৈরি করা হয়, সেখানে বলা হয় যে, বিবাহের চারদিনের মাথায় সর্পদংশনে তার মৃত্যু ঘটবে। এই কারণে সেই রাজপুত্রের স্ত্রী নির্দিষ্ট সেই দিনে একটা বুদ্ধি ফাঁদলেন। নববধূ তার সমস্ত গয়না খুলে একটি ঝুড়ির মধ্যে রাখলেন। তারপর সেই ঝুড়ি ভর্তি গয়না মূল দরজার সামনে রেখে দিলেন। একইসঙ্গে ঘরের মধ্যে প্রচুর প্রদীপ জ্বালিয়ে নিলেন। সারারাত তিনি রাজপুত্রের সঙ্গে গল্প করতে থাকলেন, যাতে রাজপুত্র ঘুমোতে না পারেন। পরের দিন সকালে মৃত্যুর দেবতা যমরাজ সাপের বেশে সেই কক্ষে প্রবেশ করলে তার চোখ এতো আলোয় এমন ঝলসে যায় যে তিনি আর রাজপুত্রের কাছে গিয়ে পৌছাতে পারেন না এবং নিঃশব্দে কক্ষ ত্যাগ করেন। এই পৌরাণিক কাহিনী থেকেই ধনতেরাস পুজোর উদ্ভব হয়েছে বলে মনে করা হয়।

দেশের নানা প্রান্তে এই দিনটি ধুমধাম করে পালন করা হয়:

সারা ভারতবর্ষের প্রতিটি প্রান্তেই ধনতেরাস পালন করা হয়ে থাকে। মহারাষ্ট্রে এই পুজোর দিন বিশেষ এক ধরণের নৈবেদ্য অর্পণ করা হয়। মূলত, ধনে বীজ এবং গুড়ের মিশ্রণে এই মিষ্টি নৈবেদ্য তৈরি করা হয়। আবার দক্ষিণ ভারতে, আজকের দিনে গরুকে গয়না পরিয়ে সাজানো হয় এবং পুজো করা হয়। মনে করা হয় গরু স্বয়ং দেবী লক্ষ্মীর রূপ নিয়ে এসেছেন।

আরও পড়ুন-কবে ব়্যানিটিডিন নিষিদ্ধ করবে কেন্দ্র?

 

Previous articleকবে ব়্যানিটিডিন নিষিদ্ধ করবে কেন্দ্র?
Next articleঅক্টোবরের শেষ দু’দিন ফের ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোয় ট্রায়াল রান