বলে কী বৃদ্ধ! জয়াকে আমি বহুদিন চিনি! বিস্মিত অমিতাভ কী জানলেন?

অবাক অমিতাভ বচ্চন। কেবিসির হট সিটে বসে তাঁর প্রায় মূর্ছা যাওয়ার অবস্থা। তাঁর সামনে বসে থাকা বৃদ্ধ বলেন কিনা জয়া বচ্চনকে তিনি অনেক দিন থেকেই চেনেন। আর স্বয়ং অমিতাভ তা কিনা জানেনই না! চোখে মুখে বিস্ময়ের চিহ্ন। দর্শক আসনেও পিন ড্রপ সাইলেন্স।

নীরবতা ভাঙলেন স্বয়ং অধ্যাপক সুশীল মাখিজা। বললেন তিনি নাগপুরের দীননাথ হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলে পড়াশোনা করেছেন। আর তারই বেঙ্গলি মিডিয়ামে পড়েতেন জয়া ভাদুড়ি। অবশ্য পড়েছেন মাত্র এক বছর। সেটা ১৯৭১ সাল। ‘গুড্ডি’ ছবি তখন সবে রিলিজ করেছে। হঠাৎ বিখ্যাত জয়া। স্কুলে তাকে দেখতে ভিড় জমে থাকত। নাগপুরে তাঁকে নিয়ে আমাদের দারুন গর্ব। আর আমার বেশি গর্ব, তার কারন আমি তার সহপাঠী ছিলাম। চোখ ছানাবড়া অমিতাভের বিস্ময়ের ঘোর কাটল, এবং মঞ্চে বসে জানিয়ে দিলেন জানতেন না জয়ার এই স্কুলে পড়ার ইতিহাস।

অধ্যাপক ডঃ মাখিজার সাত পাকে বাঁধা পড়েছেন বইয়ের সঙ্গে। ছাত্র-ছাত্রী পড়াতে পড়াতে বিয়েই করা হয়নি। দেশ-বিদেশের বই সংগ্রহ ও পড়াই তাঁর নেশা। লসিব্রেরিতে রয়েছে ৫০০-র বেশি বই! অধ্যাপক মাখিজাকে অবশ্য হট সিট থেকে ৩ লাখ ২০ হাজারের চেক নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে।