শোভন ফিরছে তৃণমূলে? পার্থর বাড়িতে বৈশাখীর যাওয়া নিয়ে তুমুল জল্পনা

দীপাবলির প্রাক্কালে শনিবার তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি গেলেন বিজেপি যোগ দেওয়া বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়৷ এদিন আচমকাই শোভন চট্টোপাধ্যায়ের ‘বিপদের বন্ধু’ বৈশাখী হাজির হন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে। তার পরই শুরু হয়েছে জল্পনা।

জানা গিয়েছে, দু’জনের মধ্যে এদিন দীর্ঘক্ষণ কথা হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রীর বাড়ি থেকে বেরিয়ে সংবাদমাধ্যমের সামনে বৈশাখী বলেন, “আমরা বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলাম৷ কিন্তু কিছু তিক্ততা তৈরি হয়েছে৷ সেই কারণে আমি নিজেকে অনেকটা দূরে সরিয়ে নিয়েছি৷ শোভনদাও দেখছি অনেকটা নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছেন৷” পাশাপাশি শোভন-সখী বলেছেন, “আমি মনে করি, বিজেপি নেতৃত্ব যদি মনে করে, শোভনকে নিষ্ক্রিয় করে রাখবে, তাহলে তাঁরা তা করতে পারেন৷ আর তাঁরা যেভাবে তাঁকে সক্রিয় করে তুলবে ভাবেন, তাও তাঁরা করতে পারে৷ তাতে আমার কিছু বলার নেই৷’’

সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে বিজেপিতে যোগ দেওয়া বৈশাখী বলেছেন, ” ‘‘পার্থদা একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব৷ আমি একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব৷ আমাদের দু’জনের মধ্যে অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ থাকবেই৷”

তিনি বলেন, “পার্থদার সঙ্গে আমার সম্পর্ক নিতান্তই ব্যক্তিগত৷ বিজয়ার পর দেখা হয়নি, তাই আজ প্রণাম করতে এসেছি। ওঁর কারণেই আমি কাজ করছি৷ তাই ওঁকে প্রণাম জানানো আমার কর্তব্য”। দিল্লি গিয়ে ঘটা করে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর বৈশাখীদেবীর এভাবে তৃণমূল মহাসচিবের বাড়িতে হাজিরা ঘিরে রাজনৈতিক জল্পনা শুরু হয়েছে। বৈশাখীদেবীর এ ধরনের কথার পরই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে তাঁর সাক্ষাৎ ঘিরে নতুন বিতর্ক শুরু হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কি শোভনের বিজেপি ছাড়ার কথাই পার্থকে জানিয়ে গেলেন বৈশাখী?

Previous articleবলে কী বৃদ্ধ! জয়াকে আমি বহুদিন চিনি! বিস্মিত অমিতাভ কী জানলেন?
Next articleকালীপুজোর টক্করে আমহার্স্ট স্ট্রিট বনাম চেতলা