দুষ্মন্তের সাহায্যে ফের মুখ্যমন্ত্রীর গদিতে খট্টর

রাজনীতির বিভিন্ন সমীকরণ আর দোলাচলের পরে, অবশেষে দ্বিতীয়বারের জন্য হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী আসনে বসলেন মনোহরলাল খট্টর। উপমুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন জননায়ক জনতা পার্টির প্রধান দুষ্মন্ত সিং চৌতালা। রবিবার, চণ্ডীগড়ে তাঁদের শপথবাক্য পাঠ করান রাজ্যপাল সত্যদেও নারাইন আর্য। শপথগ্রহণে ছিলেন দুষ্মন্তের বাবা অজয় চৌতালাও। দুর্নীতি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয় তিনি রয়েছেন তিহার জেল। কিন্তু ছেলের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্যে প্যারোলে দু’সপ্তাহের জন্য মুক্তি পেয়েছেন তিনি। এদিনের, অনুষ্ঠানে ছিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় ও রাজ্য নেতৃত্ব। ছিলেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী জেপি নাড্ডা, আকালি দলের প্রধান প্রকাশ সিং বাদল, তাঁর ছেলে সুখবীর বাদল। ছিলেন কংগ্রেসের ভূপিন্দর সিং হুডাও।

জেজেপির ১০জন ও ৭জন নির্দল বিধায়কের সমর্থনে সরকার গড়তে রাজ্যপালকে চিঠি দিয়েছিলেন খট্টর। এরপরই তাঁকে সরকার গঠনের জন্য আমন্ত্রণ জানান সত্যদেও নারাইন আর্য।

আরও পড়ুন – দিওয়ালির শুভেচ্ছাতেও কেন্দ্রকে খোঁচা সোনিয়ার

উপমুখ্যমন্ত্রী হয়েও, স্বস্তি পাচ্ছেন না জেজেপি প্রধান। কারণ, বিজেপিকে সমর্থন করায় দল ছেড়েছেন তেজ বাহাদুর যাদব, যিনি সেনা বাহিনীতে খাবারের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিএসএফ থেকে বহিষ্কৃত হয়েছিলেন। হরিয়ানার মানুষের সঙ্গে দুষ্মন্ত বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।

হরিয়ানার ফল প্রকাশের পরে রাজনৈতিক মহলের ধারণা হয় ১০ বিধায়কের সঙ্গে হাতে হাত রেখে সরকার গড়বে জেজেপি। কিন্তু যত সময় এগিয়েছে, ততই নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন জেজেপি সুপ্রিমো। স্পষ্ট জানায়িছেন ক্ষমতার পাশে থাকবেন তিনি। সেই মতো, শুক্রবার রাতেই বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতির অমিত শাহের বাড়িতে সমঝোতা হয় বিজেপি-জেজেপির। সিদ্ধান্ত হয় উপমুখ্যমন্ত্রী করা হবে দুষ্মন্তকে। তবে, গেরুয়া শিবিরে হাত মেলাতেই, ভোটের আগে নরেন্দ্র মোদি বা বিজেপির বিরুদ্ধে তিনি কী বলেছিলেন, তার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। এরফলে, জেজেপি প্রধানের উপর চাপ বাড়ছে বলে মনে করছে রাজৈনিতক মহল।

আরও পড়ুন – মন কি বাত’-এ মোদির মুখে অযোধ্যা মামলা

Previous articleদিওয়ালির শুভেচ্ছাতেও কেন্দ্রকে খোঁচা সোনিয়ার
Next articleপ্লাস্টিক বর্জনের বার্তা দিয়ে জ্বলল বিরাট প্রদীপ