রাত পোহালেই ভাইফোঁটা, শহরের মিষ্টির দোকানগুলিতে চাহিদা তুঙ্গে ‘স্পেশাল সেভেন’, ‘মধুপর্ণার’

কপালে চন্দনের ফোঁটা দিয়ে যমের দুয়ারে কাঁটা ফেলার পর দাদা বা ভাইকে রকমারি মিষ্টি খাইয়ে চমক দিতে চান বোনেরা। ভাইফোঁটার আগে থেকেই তাই নতুন মিষ্টির খোঁজ শুরু করে দেন বোনেরা। মিষ্টির দোকানগুলিতে ভাইফোঁটার আগে নতুন মিষ্টি তৈরির জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েন কারিগররা।

এবারও তার ব্যতিক্রম নয়। কলকাতা শহরের ছোট-বড় সব দোকানেই ভাইফোঁটায় মিষ্টির চাহিদা তুঙ্গে। অধিকাংশ বাঙালি পরিবারে কমবেশি মিষ্টি কেনার চল রয়েছে। মিষ্টির দোকানগুলিতে চলছে নতুন মিষ্টি নিয়ে গবেষণা বোনেদের নতুন মিষ্টির চাহিদা মেটাতে। ভাইফোঁটার আগের দিন লাইন দিয়ে মিষ্টি কেনার তোড়জোড়। যা চলবে ভাইফোঁটার দিন দুপুর পর্যন্ত। সোমবার থেকেই ভাইফোঁটার মিষ্টি কিনতে উপছে পড়ছে ভিড়। যা সামলাতে হিমসিম খাচ্ছেন দোকানদারেরা। ভাইফোঁটার সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে বিক্রি হচ্ছে দেওয়ালি ও গুজরাতি নববর্ষের মিষ্টিও।

আরও পড়ুন – রাজ্যপালের কাছে আলাদাভাবে শিবসেনা-বিজেপি

দক্ষিণ কলকাতার ভবানীপুরের শতাব্দী প্রাচীন ও জনপ্রিয় একটি মিষ্টির দোকানে গিয়ে চোখে পড়লো সেই ছবি। যেখানে স্থানীয়দের পাশাপাশি ভিড় জমিয়েছে উত্তরপাড়া, ইছাপুর, হাওড়া, শ্যামবাজার, সোনারপুর থেকে আসা ক্রেতারা।

বিখ্যাত সেই দোকানের কর্ণধার সুদীপ মল্লিক জানালেন, ভাইফোঁটায় এবার তাঁদের নতুন সংযোজন ‘ভাইফোঁটা স্পেশ্যাল সেভেন”, অর্থাৎ ৭ রকমের মিষ্টি দিয়ে স্পেশাল প্লেট। একেবারে ভাইদের সামনে সাজিয়ে দিলেই হলো। আলাদা কোনও প্লেটের দরকার নেই। দাম ৪৫০টাকা।

এর পাশাপাশি বেক রসগোল্লা, জলে ভরা তালশাস, মধুপর্ণা, সলটেড ক্যারামেল, সুগার ফ্রি সন্দেশ, ডাব সন্দেশ, ব্লু বেরি দই, আম দই। সব মিলিয়ে ১৪০ রকমের মিষ্টির পসরা নিয়ে গমগম করছে দোকান। প্রতিটি আইটেম-এর ব্যাপক চাহিদা।অন্যান্য দোকানগুলিতে উপচে পড়ছে ভিড়।

আরও পড়ুন – মেয়রের উদ্যোগে জলাভূমি ভরাট রুখতে নয়া দাওয়াই পুরসভার

Previous articleহাসপাতালেই বোনের সদ্যোজাতকে তুলে আছাড় দিদির, ঘটনা আপনার চোখেও জল আনবে
Next articleঅন্য ধারার ভাইফোঁটা