‘শতবর্ষে ইস্টবেঙ্গল’ – তরুণ সংঘের পুজোয় গিয়ে আপ্লুত শীর্ষকর্তা

কালীপুজোয় ‘শতবর্ষে ইস্টবেঙ্গল’ থিম শুনে প্রথম দিন থেকেই উৎসাহ দিয়ে গিয়েছেন তিনি। মা অসুস্থ, তাই গত শুক্রবার রামমোহন রায় রোড তরুণ সংঘে পুজোর উদ্বোধনে আসতে পারেননি ইস্টবেঙ্গলের অন্যতম শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার। তবে দীপাবলির রাতে হাজির তিনি। শুভেচ্ছার ডালি হাতে।

দিন দশেক আগে তরুণ সংঘের পুজো উদ্যোক্তাদের সঙ্গে প্রথম বৈঠক। উত্তর কলকাতায় মোহনবাগানের ‘ঘাঁটি’-তে সম্মান জানানো হবে ইস্টবেঙ্গলকে, প্রাক্তনীদের। শুনে আবেগ যেন ঠিকরে বেরোচ্ছিল দেবব্রত সরকারের শরীরী ভাষায়। ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের শীর্ষকর্তা ময়দানের ‘নীতু’ তখনই আশ্বস্ত করেছিলেন, সবরকম সাহায্য তিনি করবেন। কথা রেখেছেন লাল-হলুদের সর্বময় কর্তা। রামমোহন রায় রোড তরুণ সংঘের পুজো সাফল্যের আলো পেত না দেবব্রত সরকারের সহযোগিতা ছাড়া। তবে কোথাও যেন একটু খামতি থেকে যাচ্ছিল, পুজোপ্ৰাঙ্গনে ইস্টবেঙ্গল কর্তার উপস্থিতির অভাবে।

গত কয়েকদিন ধরেই মা অসুস্থ। তাই সময় বের করে রামমোহন রায় রোডে পৌঁছতে পারছিলেন না। তবে এই পুজোর অন্যতম উদ্যোক্তা প্রাক্তন সাংসদ-সাংবাদিক কুণাল ঘোষকে কথা দিয়েছিলেন, একবারের জন্য হলেও তরুণ সংঘের পুজোয় আসবেন তিনি। দীপাবলির রাতে শহর যখন আলোকমালায় সেজে উঠেছে, রংমশালের আলোয় যখন চারপাশে উৎসবের মাদকতা, প্রয়াত পল্টু দাসের স্ত্রী-কন্যা ও জামাইকে সঙ্গে নিয়ে তরুণ সংঘে সটান হাজির ময়দানের ‘নীতুদা’। সঙ্গে লাল-হলুদের প্রাক্তন গোলরক্ষক এবং সহ-প্রশিক্ষক অভ্র মণ্ডল। পুজো উদ্যোক্তাদের তরফে অতিথিদের বরণ করার আগেই অবশ্য আপ্লুত লাল-হলুদ শীর্ষকর্তা। মূল মণ্ডপের সামনে রাস্তার দু’পাশে ইস্টবেঙ্গলের নানা স্মৃতির দলিল খোদাই করা। হরেক মুহূর্তের ছবিগুলি সব খুঁটিয়ে দেখে নীতুর চোখের কোণটা তখন চিকচিক করছে। আজকাল পত্রিকার সহযোগিতায় প্রদর্শনী যেন পূর্ণতা পেয়েছে, এমনটাই মনে করেন অভ্র মণ্ডল।

আর দেবব্রত সরকার তো মাইক হাতে বলেই ফেললেন, “যেন একটুকরো ইস্টবেঙ্গল উঠে এসেছে মোহনবাগানের পাড়ায়। অনুভূতিটাই অন্যরকম।”

                                                                 ছবি – প্রকাশ পাইন

Previous articleপ্রসূনের নেতৃত্বে সিঙ্গাপুরে বাঙালিদের বিরাট কালীপুজো
Next articleব্রেকফাস্ট নিউজ