শোভনফোঁটায় গোটা লাভটাই মমতার

ভাইফোঁটার দিন শোভন গিয়ে দিদির বাড়িতে হাজির হয়ে যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, তার গোটা লাভটাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।

শোভন দুটি কারণে দিদির কাছে গিয়ে থাকতে পারেন।
এক, রাজনৈতিক কারণ। বিজেপিতে তাঁর পোষাচ্ছে না। পুরনো দলে ফিরতে চান।
দুই, গত সপ্তাহেই সিবিআই জেরার পর এমন কিছু বিশেষ কারণ হয়েছে, যাতে শোভন প্রথমে পার্থর কাছে বৈশাখীকে পাঠান। তারপর দিদির সঙ্গে নিজে কথা বলেন।
কোন কারণটি ঠিক, বলা মুশকিল।
কিন্তু ঘটনা হল, কারণ যাই হোক, মানুষ যা দেখেছেন তাতে লাভ তৃণমূল ও নেত্রীর।
মানুষের ধারণা হবে:

এক, শোভনকে সেই মমতার কাছে আসতেই হল।
দুই, বিজেপিতে গিয়ে টিকে থাকা কঠিন।
তিন, মমতা যথেষ্ট উদার, তিনি পথভ্রষ্ট অনুগামীকে ফের কাছে টানতে পারেন।

এইসব ধারণা থেকে শোভনকে নিয়ে নানা জল্পনা যাই রটুক, তিনি তৃণমূলে আনুষ্ঠানিকভাবে আসুন বা নাই আসুন, লাভ গোটাটাই মমতার। শোভনের ঘনঘন এদিকওদিক করা নিয়ে কটাক্ষ চলছে। তবে তিনি যে তৃণমূলেই স্বস্তিতে থাকতে পারেন, এটা স্পষ্ট। রত্নারা বিষয়টি নজর রাখার মত। বৈশাখীও নিশ্চয়ই খানিকটা পরিণত আচরণ করছেন এবং করবেন। তবে জল যে দিকেই গড়াক, শোভনফোঁটার রাজনৈতিক লাভ পুরোপুরি গেছে মমতার কাছে। যে শোভন কদিন আগে বিজেপির দিল্লি অফিসে বসে মমতার বিরোধিতা করেছেন, যে কোন কারণেই হোক, সেই শোভন মমতার বাড়ি এসে প্রণাম করে ফোঁটা নিলে মমতার উচ্চতাই যে আরও বাড়ে, সেটা তো স্বাভাবিক।

Previous articleতিন ক্রিকেট কর্তাদের সাসপেন্সন বিতর্ক নিয়ে বিপাকে দক্ষিণ আফ্রিকা
Next articleজামিন পেয়েই নির্যাতিতাকে ফের ধর্ষণ!