এনআরএস হাসপাতাল চত্বরে বস্তাবন্দি ১৬টি কুকুরছানার দেহ উদ্ধারের ঘটনার ন’মাস পরে চার্জশিট দিল এন্টালি থানা। শিয়ালদহ আদালতে জমা পড়ে ২০৪ পাতার চার্জশিট। সেখানে এনআরএসের নার্সিংয়ের দুই ছাত্রী মৌটুসি মণ্ডল ও সোমা বর্মনের নাম রয়েছে বলে সূত্রের খবর।
এবছর জানুয়ারির ১৩ তারিখ এনআরএস হাসপাতাল চত্বরে কয়েকটি বড় কালো প্লাস্টিকের প্যাকেট পড়ে থাকতে দেখেন হাসপাতালের এক কর্মী। প্যাকেটগুলির পাশেই একটি মা-কুকুর বসেছিল। সন্দেহ হওয়ায় প্যাকেটগুলি খুলতেই দেখা যায়, কয়েক সপ্তাহ বয়সের ১৬টি কুকুরছানার দেহ রয়েছে। ঘটনারের পরে একটি ভিডিও ফুটেজ সামনে আসে। তাতে, দেখা যায় একে একে নির্মম ভাবে পিটিয়ে মারা হয় ১৬টি ছানাকে। প্রতিবাদে গর্জে ওঠে পশুপ্রেমী সংগঠন থেকে সাধারণ মানুষ। আঁচ পৌঁছয় দিল্লির মানেকা গান্ধির দফতরেও।
গত ১৫ জানুয়ারি নার্সিংয়ের দুই পড়ুয়া মৌটুসী মণ্ডল ও সোমা বর্মনকে গ্রেফতার করে এন্টালি থানার পুলিশ। দফায় দফায় জেরায় দুই ছাত্রী অপরাধ কবুল করেন বলে পুলিশ সূত্রে খবর। তবে, আদালত থেকে জামিন পান তাঁরা।
এরপর উচ্চপর্যায়ের তদন্তের শেষে এই ঘটনায় চার্জশিট দিল এন্টালি থানার পুলিশ। চার্জশিটে মৌটুসি এবং সোমার বিরুদ্ধে আইপিসি ৪২৯ ও ২০১ ধারায় পশু খুন ও তথ্য প্রমাণ লোপাটের অভিযোগ আনা হয়েছে। একইসঙ্গে ১১এল ধারায় প্রিভেনশন অব ক্রুয়েল্টি টু আনিম্যাল ধারা দেওয়া হয়েছে। এখন এর জেরে তাঁদের দুজনের কোনও শাস্তির মুখে পড়তে হয় সেটাই দেখার।
আরও পড়ুন-উপনির্বাচনে হাতে হাত বামেদের, ১টি মাত্র কেন্দ্রে প্রার্থী দিচ্ছে সিপিএম