পাঁচ শ্রমিকের নৃশংস মৃত্যুর তদন্ত চাই, মৃতদেহের পাশে দাঁড়িয়ে বললেন ফিরহাদ

পরপর এল পাঁচটি দেহ। কামালুদ্দিন, মুরসালিম, রফিক, নঈমুদ্দিন, রফিকুল। কফিনবন্দি। জঙ্গিহানায় নিহত শ্রমিকের দেহ। আহত জহিরুদ্দিনকে মেয়র নিজে দাঁড়িয়ে বিমানবন্দর থেকে পাঠালেন পিজির ট্রমা কেয়ারে। কাশ্মীরের কুলগাঁওতে পাকিস্তানের পাঠানো জঙ্গিরা আপেল ক্ষেতে কাজ করা এই শ্রমিকদের ঘুম থেকে তুলে দাঁড় করিয়ে নৃশংসভাবে গুলি করে খুন করে মঙ্গলবার গভীর রাতে। দেশ জুড়ে নিন্দার ঝড়। বাংলায় শোকের ছায়া।

বুধবার রাত ১১.৪৫ মিনিটে এল প্রথম দেহ। বিমানবন্দরে রাজ্য সরকারের নির্দেশে ছিলেন বিধাননগর কমিশনারেটের পুলিশকর্তারা। ছিলেন প্রশাসনের কর্তারা। চলে এসেছিল শববাহী গাড়ি আর ফুল। বিমানবন্দর থানায় বসে পুরো কাজটির তত্ত্বাবধানে ব্যস্ত ছিলেন কলকাতার মেয়র -মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। চতুর্থ দেহটি কফিন থেকে বের করে শববাহী গাড়িতে নামানোর সময় কার্গো এলাকায় এলেন ফিরহাদ। মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে বললেন, বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের হাত থেকে রাজ্য সরকারের পক্ষে গ্রহণ করলাম দেহগুলি। দেহ নিয়ে আমি মুর্শিদাবাদের ব্রাহ্মণীগ্রামে যাব। পরিবারের হাতে তুলে দেব। তাঁরা রীতি মেনে শেষকৃত্য করবেন। আমি ফিরে আসব। রাত একটায় বিমানবন্দর থেকে দেহ নিয়ে ফিরহাদ হাকিম মুর্শিদাবাদের উদ্দেশে রওনা হলেন।

বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে কলকাতার মেয়র বললেন, বাংলা মায়ের কোল বারবার খালি হচ্ছে। আর কেন্দ্র বলছে কশ্মীর ঠিক আছে। মানুষের সঙ্গে এ পরিহাসের অর্থ কী? বিদেশী সাংসদরা কাশ্মীরে যেতে পারছেন, অথচ ভারতীয়দের উপর নিষেধাজ্ঞা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যথার্থ বলেছেন, গোটা ঘটনার তদন্ত চাই। হ্যাঁ আমরা গোটা ঘটনার তদন্ত চাই। ৩৭০ না ৪২০, কোন ধারা তোলা হল, সে নিয়ে আমাদের মাথাব্যথা নেই। এত নিরাপত্তার মাঝেও কীভাবে জঙ্গি হানায় মারা গেল বাংলার শ্রমিকরা, তার জবাব কেন্দ্র সরকারকে দিতে হবে।

ছবি- প্রকাশ পাইন

Previous articleদুর্নীতি ঠেকাতে সরকারের নয়া দাওয়াই
Next articleবাঙালি নয় শ্রমিক! বিজেপিকে এক হাত নিলেন ফিরহাদ