ফের মাঝ আকাশে গাফিলতির যান্ত্রিক ত্রুটি, আতঙ্কের প্রহর কাটল যাত্রীদের

ইম্ফল-কলকাতা উড়ানের যা হয়েছিল অনেকটা সেই ধরণের ঘটনা ফের মাঝ আকাশে। এবার কলকাতা-বাগডোগরা উড়ানের। এ যাত্রাতেও অবশ্য আতঙ্কিত যাত্রীদের নিয়ে নিরাপদে উড়ান ফিরে আসে দমদম বিমানবন্দরে।

কী হয়েছিল বৃহস্পতিবার সকালে? ৬৪ আসনের প্রপেলার ঘোরা স্পাইস জেটের (৩৩২১) বিমানটি সকাল ৬.০৫-এ নির্ধারিত সময়ের কিছু পরেই দমদম থেকে ছাড়ে। মিনিট ২০ ওড়ার পর হঠাৎই ট্র‍্যাক চেঞ্জ করার মতো ডান দিকে ঘুরতে থাকে বিমান। যাঁরা নিয়মিত যাতায়াত করেন, এমনই এক যাত্রী শুভঙ্কর মাইতি জানাচ্ছেন, হঠাৎ ছোট বিমানটি আওয়াজ করে ঘুরতে থাকে। অথচ আমরা যারা নিয়মিত যাতায়াত করি, তারা জানি, ওই সময়ে বিমান ঘোরার কথা নয়। নামার আগে কিষাণগঞ্জের কাছাকাছি এসে বিমানটি ঘোরে। মিনিট দশেক অস্থির অবস্থা চলার পর পাইলট ঘোষণা করেন, যান্ত্রিক ত্রুটির কারনে বিমান কলকাতায় ফিরছে। বেশ পুরনো ছোট বিমান এটি। মাঝ আকাশে আতঙ্ক বাড়ে। ঝাঁকুনি এবং ইঞ্জিনের গণ্ডগোল। তবে এটিএসের সঙ্গে যোগাযোগ করে ধীরে ধীরে বিমান নামে।বিমান নামার সময় যে বিভৎস জার্কিং হয়, তাতে বোঝা যায় বিমানের চাকাতেও গণ্ডগোল ছিল। নামার পর কর্তৃপক্ষ জানায়, বিমানে ইঞ্জিন এবং আরও অন্য টেকনিক্যাল ফল্ট ছিল। প্রশ্ন হচ্ছে, তাহলে বিমান ওড়ার আগে সেই বিষয় কেন চোখে পড়েনি। যাত্রীদের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলার অধিকার কে দিয়েছে কর্তৃপক্ষকে? শুভঙ্করবাবু জানান, নামার পর আরও এক প্রস্থ হুজ্জতি। বলা হয় আগের বোর্ডিং পাসে হবে না, নতুন করে বোর্ডিং পাস নিতে হবে এবং নতুন করে সিকিউরিটি চেকিং! বিমানে চড়া যাত্রীদের কেন ফের সিকিউরিটি চেকিং! এর উত্তর মেলেনি কর্তৃপক্ষের তরফে। বলা হয়েছে, এটাই নাকি নিয়ম! যাত্রীদের জীবন সঙ্কটের পাশাপাশি হয়রানিও ছিল উপরি পাওনা।

বিমান সংস্থাগুলি কী আর একটু মানবিক হতে পারেন না!