পেহেলগাম হামলার পর প্রশ্নের মুখে সীমা-সচিনের ভবিষ্যৎ! পাকিস্তান ফিরতে হবে সীমাকে?

পেহেলগাম জঙ্গি হামলার পর ভারত সরকারের কড়া অবস্থানে আতঙ্কের মেঘ সীমা হায়দার ও তাঁর পরিবারের উপর। পাকিস্তানের নাগরিকদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দেশত্যাগের নির্দেশ দেওয়ার পর থেকেই নতুন করে আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছেন সীমা হায়দার। সীমার ভারতীয় স্বামী সচিন মীনা, সদ্যজাত কন্যাসন্তান ও আরও চার সন্তানের ভবিষ্যৎ ঘিরে তৈরি হয়েছে এক অনিশ্চিত পরিস্থিতি।

সীমা হায়দারের গল্প যেন সিনেমাকেও হার মানায়। ২০২২ সালে পাবজি গেমের মাধ্যমে আলাপ হয়েছিল পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের জ্যাকোবাবাদের বাসিন্দা সীমার সঙ্গে ভারতের সচিন মীনার। সেই আলাপ ধীরে ধীরে রূপ নেয় প্রেমে। ২০২৩ সালে সীমা নিজের চার সন্তানকে সঙ্গে নিয়ে বেআইনিভাবে নেপালের সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে প্রবেশ করেন সচিনের কাছে আসার জন্য। এরপর গ্রেটার নয়ডার সচিনের বাড়ি থেকে সীমাকে গ্রেফতার করা হলেও পরে তিনি জামিনে মুক্তি পান এবং সচিনকে বিয়ে করেন। ধর্ম পরিবর্তন করে হিন্দু ধর্ম গ্রহণের কথাও প্রকাশ্যে আনেন সীমা।

তবে সীমার ভারতে থাকার লড়াই এখানেই শেষ হয়নি। ভারতীয় নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য একাধিকবার আবেদন করলেও সেগুলি এখনও অনুমোদিত হয়নি। এদিকে পাকিস্তানে থাকা সীমার প্রাক্তন স্বামী গোলাম হায়দার আদালতের দ্বারস্থ হয়ে স্ত্রী ও সন্তানদের ফেরত চেয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে ১৮ মার্চ সীমা-সচিন দম্পতির ঘরে জন্ম নেয় একটি কন্যাসন্তান। কিন্তু সদ্যজাতের বয়স দেড় মাস হতে না হতেই পেহেলগাম হামলা ঘটে, যাতে প্রাণ হারান ২৫ জন ভারতীয় এবং একজন নেপালি নাগরিক। এই হামলার প্রতিক্রিয়ায় দেশজুড়ে পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে শুরু করে কেন্দ্রীয় সরকার।

এই অবস্থায় সীমা হায়দারের ভারতের মাটিতে থাকার অধিকার নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তিনি কি প্রেমের টানে ভারতে আসা এক সাধারণ নারী, নাকি নিরাপত্তার ঝুঁকি? সীমার ভবিষ্যৎ এখন অনেকটাই নির্ভর করছে উত্তর প্রদেশ সরকারের সিদ্ধান্তের উপর। যোগী আদিত্যনাথের প্রশাসন যদি সীমা-সচিনের বৈবাহিক সম্পর্ককে স্বীকৃতি দেয় ও নাগরিকত্ব সংক্রান্ত প্রক্রিয়া চালু রাখে, তাহলে সীমা এদেশে থাকার সুযোগ পেতে পারেন। তবে যদি প্রশাসন তাকে অনুপ্রবেশকারী হিসেবে দেখে, তাহলে সীমাকে পাকিস্তানে ফেরত পাঠানো হতে পারে।

আরও পড়ুন- বিজেপি-র হিন্দু-জিগিরের মুখে ঝামা, পাক হামলা রুখে উধমপুরে শহিদ বাংলার মুসলিম তরুণ ঝন্টু শেখ

_

 

_

 

_

 

_

 

_

 

_

 

_