মামাতো বোনকে খুন করে লুটের পরিকল্পনা, জেরায় জানাল মাদকাসক্ত ঐন্দ্রিলা

দুই বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে হরিদেবপুরে মামার বাড়িতে লুটপাট এবং মামাতো বোনকে খুনের চেষ্টার ঘটনায় ভাগ্নি ঐন্দ্রিলা রায়কে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার দুই শাগরেদ রূপম সমাদ্দার ও পবিত্র দেবনাথকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পবিত্র দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুখ্যাত দুষ্কৃতী বলে পরিচিত। ধৃতদের আলিপুর আদালতে তোলা হয়েছে।

জানা গিয়েছে, মাদকাসক্ত ঐন্দ্রিলা মামার কাছে ১৯ লক্ষ টাকা ধার চেয়েছিল। মামা ডা. অরূপকুমার দাস তা দিতে অস্বীকার করায় মামাতো বোন ও বাড়ির পরিচারিকাকে খুন করে লুটের সিদ্ধান্ত নেয় সে।

পুলিশ সূত্রে খবর, মাদকাসক্ত ঐন্দ্রিলা সম্প্রতি বিদেশে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিল। তার জন্য ১৯ লক্ষ টাকার মামার কাছে ধার চায় সে। কিন্তু, অত টাকা দিতে পারবেন না বলে জানান ডা. অরূপকুমার দাস। এরপরই মামার বাড়িতে ডাকাতির পরিকল্পনা করে ওই তরুণী। প্রয়োজনে মামাতো বোন ও বাড়ির পরিচারিকাকে খুনের সিদ্ধান্তও নিয়ে ফেলে ওই তরুণী।

পরিকল্পনার পর রূপমের সহযোগিতায় দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুখ্যাত দুষ্কৃতী পবিত্রর সঙ্গে রফা হয় ঐন্দ্রিলার। পরিকল্পনা মতো গতকাল বুধবার দুপুরে টালিগঞ্জে তিনজনে একত্রিত হয়। ‘প্ল্যান’ ঝালিয়ে নিয়ে ৭/৫৬ ডায়মন্ড পার্কের আবাসনের উদ্দেশ্যে রওনা হয় ঐন্দ্রিলা ও পবিত্র। দুপুর ২:১০ মিনিটে সেখানে পৌঁছয় তারা। তখন চিকিৎসক অরূপবাবু ছিলেন চেম্বারে। বাড়িতে ছিলেন কন্যা শাল্মলী ও পরিচারিকা কল্পনা। বেলের শব্দ শুনে দরজা খোলেন কল্পনা। শাল্মলী স্নান করছিলেন। দু’জনকে ড্রয়িং রুমে বসিয়ে কাজে ফিরে যান কল্পনা। রান্নাঘরে গিয়ে হাতুড়ি দিয়ে তাঁকে আক্রমণ করে ঐন্দ্রিলা ও পবিত্র। কল্পনার চিৎকার শুনে তড়িঘড়ি বেরিয়ে আসেন শাল্মলী। তখন রান্নাঘরের বঁটি দিয়ে তাঁর পিঠে ক্রমাগত আঘাত করা হয়। রক্তাক্ত শাল্মলীর থেকে লকারের পাসওয়ার্ড জেনে নগদ দেড় লক্ষ টাকা, আড়াই থেকে তিন লক্ষ টাকার সোনার গয়না বের করে নেয় দুই অভিযুক্ত।

সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন শাল্মলী ও কল্পনা। অভিযুক্তরা ভাবে দু’জনই প্রাণ হারিয়েছেন। জেরা অভিযুক্তরা জানিয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে বেরিয়ে ফের তিনজন একত্রিত হয়। রক্তমাখা পোশাক বদলে তা একটি ভ্যাটে ফেলে দেয় ঐন্দ্রিলা। এরপর আলাদা হয়ে যায় তারা।

আরও পড়ুন-বিজেপির ভয়ে হোটেলে সরানো হল শিবসেনা বিধায়কদের

Previous articleবিজেপির ভয়ে হোটেলে সরানো হল শিবসেনা বিধায়কদের
Next articleধেয়ে আসছে বুলবুল: আর অনুরোধ নয়, এবার মৎস্যজীবীদের ফেরার নির্দেশ