হাতে আর একদিন। কাল শুক্রবারের মধ্যে মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন না করতে পারলে সম্ভবত রাষ্ট্রপতি শাসনের দিকেই যেতে পারে রাজ্য। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অনুমান, তেমন পরিস্থিতি হলে তা বিজেপির পক্ষে সুবিধাজনকই হবে। সমর্থন জোগাড়ের জন্য বাড়তি সময় পাবে তারা। অনেকেরই মত, সেক্ষেত্রে কর্ণাটকের পর ‘অপারেশন কমলা’-র দ্বিতীয় এপিসোড দেখতে পারে মহারাষ্ট্র। শিবসেনা অনন্তকাল দলীয় বিধায়কদের হোটেলে লুকিয়ে রাখতে পারবে না। শিবসেনার 56 জন বিধায়কের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশ যদি বিজেপিকে সমর্থন করে তাহলে তা দলত্যাগবিরোধী আইনের আওতায় পড়বে না। এছাড়া নির্দল বিধায়কদের সমর্থন জোগাড়ের চেষ্টাও হবে। শিবসেনার সঙ্গে বিগড়ে যাওয়া সম্পর্ক মেরামতেরও সুযোগ পাওয়া যাবে। ফলে রাষ্ট্রপতি শাসনে সুবিধা অমিত শাহের দলেরই।
তাৎপর্যপূর্ণভাবে আজ বিজেপির প্রতিনিধিদল রাজ্যপাল ভগৎ সিং কোশিয়ারির সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেও আলাদা করে সরকার গড়ার দাবি জানায়নি। বরং বিজেপির প্রতিনিধিরা পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করে রাজ্যপালের উপরেই দায়িত্ব ছেড়েছেন। বল এখন রাজ্যপালের কোর্টে। তিনি দেবেন্দ্র ফড়নবিশকে কেয়ারটেকার মুখ্যমন্ত্রী করেন কিনা তাও দেখার। আইনি সবদিক খতিয়ে দেখতে রাজ্যপাল এদিন বৈঠক করেছেন মহারাষ্ট্রের অ্যাডভোকেট জেনারেলের সঙ্গে।