কাননে কুসুম এদিনও ফুটল না!

এ ঘটনার ব্যাখ্যা এভাবে দেওয়া যায় — ‘যেতে পারি কিন্তু কেন যাবো? সে ছিল সুখের দিন। কিন্তু সে সুখের কাননে বৈশাখী ঝড়ের পরে তিনি টলোমলো। তারপর বিচ্ছেদ। ফের গোঁসা ঘর থেকে বেরিয়ে আমার অভিমানের বদলে আজ দেব তোমায় মালা।

এক সময়ের সতীর্থদের তরফে গুঞ্জন ছিল আসবেন, হয়তো তিনি আসবেন। কেউ বলেছেন, ফিরে পাবেন হারানো ঐশ্বর্যের সবটা না হলেও কিয়দংশ তো বটেই। এনআরসি নিয়ে যতই বিতর্ক থাকুক তাঁর পুনর্বাসন শুধু সময়ের অপেক্ষা। আবার কেউ বলেছেন, এত দ্রুত? ব্যাপারটা বাড়াবাড়ি হয়ে যাবে না! লাইট, ক্যামেরা সবকিছু তৈরি ছিল। কিন্তু অ্যাকশনের সুযোগ দিলেন কই! তাঁর পুরনো দিনের সঙ্গী বলছেন, এটা আসলে ওইরকম ব্যাপার, শ্বশুরবাড়িতে ঝগড়া করে বাড়ি ছাড়লেন বউমা। কুটুমদের বিস্তর ঘাম ঝরানোর পর বউমা ফের বাড়িতে ফিরতে গেলে যেমন তার বাধো বাধো ঠেকে, এটাও অনেকটা তাই। শুধু তাই নয়, শ্বশুরবাড়িতে প্রবেশের আগেই দুপক্ষের শর্ত পাল্টা শর্ত নিশ্চিত ভাবেই চলে। সব শেষে মধুরেণ সমাপয়েৎ। এও যেন তারই কোলাজ।

শুধু এক্ষেত্রে মধুও ঝরল না, সমাপনও হলো না। কারন, অভিমান কিছুটা লাঘব হলেও সবুজ ঝান্ডা যে ওড়েনি! তাই শেষ হইয়াও কাব্যের উত্তর পর্ব শেষ হইল না। আপাতত বিচ্ছেদ পর্ব অব্যাহতই রইল। জোড়া ফুলের নন্দন কাননে কুসুম ফুটতে লাগবে সময়।

চিমটি কেটে কেউ কেউ গাইছেন… এসেছিলে তবু আস নাই জানায়ে গেলে…

Previous articleনাতিরা ডিজে বক্স বাজিয়ে দাহ করতে নিয়ে গেলেন দাদুর দেহ
Next articleসাহিত্যিক নবনীতা দেবসেনের জীবনাবসান