ফড়নবিশ বনাম উদ্ধব: পরস্পরের বিরুদ্ধে কে কী বললেন?

তিক্ততা চরমে। দুই জোট শরিকের খেয়োখেয়ির জেরে যৌথভাবে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েও মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন করতে পারল না বিজেপি ও শিবসেনা। ফল ঘোষণার 15 দিন পরও রাজ্যে চূড়ান্ত অচলাবস্থা। কাল শনিবারই শেষ হচ্ছে রাজ্য বিধানসভার মেয়াদ। শেষপর্যন্ত হয়তো রাষ্ট্রপতি শাসনের পথেই এগোচ্ছে মহারাষ্ট্রের ভবিষ্যত। তার আগে শুক্রবার রাজ্যের দুই শরিক নেতার তিক্ত বাকযুদ্ধ দেখল গোটা মহারাষ্ট্র। প্রথমে সাংবাদিক সম্মেলন করে শিবসেনার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। এরপর পাল্টা সাংবাদিক সম্মেলনে যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেন শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে। পরস্পরের বিরুদ্ধে ঠিক কী কী বললেন দুই শরিক নেতা?

দেবেন্দ্র ফড়নবিশের অভিযোগ, জনাদেশ অমান্য করে রাজ্যের মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছে শিবসেনা। সমস্যা মেটাতে উদ্ধব ঠাকরেকে বারবার ফোন করলেও তিনি ধরেননি! গত পনেরো দিন ধরে বিজেপির বিরুদ্ধে শিবসেনার কিছু নেতা যেভাবে একতরফা কটূক্তি করে গেছেন, তা অভাবনীয়। একটি শরিক দলের নেতারা অন্য শরিক দল সম্পর্কে কীভাবে এই কটূক্তি করতে পারেন? 50:50 ফর্মূলা বা মুখ্যমন্ত্রী পদ নিয়ে উদ্ধব ঠাকরেকে কোনও প্রতিশ্রুতি দেননি অমিত শাহ। এই বিষয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ সম্পর্কে অসম্মানজনক মন্তব্য করছে শিবসেনা। এসব মানা যাবে না।

অন্যদিকে, ফড়নবিশের অভিযোগ অস্বীকার করে উদ্ধব ঠাকরে বলেন, সরকার গড়তে না পারার দায় বিজেপির। বিজেপিকে নিয়ে অথবা বিজেপিকে ছাড়া যেভাবেই হোক না কেন, মহারাষ্ট্রে শিবসেনারই মুখ্যমন্ত্রী হবে। আমি বালাসাহেব ঠাকরেকে কথা দিয়েছিলাম। বিজেপিই প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করছে। কারণ ঠাকরেরা মিথ্যা কথা বলে না। আর মোদিজি, অমিতজিকে অসম্মান করার কোনও প্রশ্নই নেই। মোদিজি আমাকে ভাই বলে সম্বোধন করেছিলেন। সেটা বোধ হয় বিজেপির কারুর কারুর পছন্দ নয়।

Previous articleপদপিষ্ট হয়ে বর্ধমান স্টেশনে গুরুতর জখম কমপক্ষে ১১জন যাত্রী
Next article“মমতা সেতু” কেন, জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে ব্যাখ্যা দিলেন কুণাল