থ্রিলার সাহিত্যিক তুলে আনার অভিনব প্রয়াস দেব সাহিত্য কুটীরের

থ্রিলার’ এই শব্দটা অনেকের কাছেই ভীষণ রোমাঞ্চকর, সাসপেন্সে ভরা একটা শব্দ। রোজনামচার কঠিন বাস্তব লড়াই করা জীবনের বাইরে একটু রোমাঞ্চের স্বাদ পেতেই থ্রিলার সাহিত্য এবং থ্রিলার ভিত্তিক সিনেমা মানুষকে ভীষণভাবে আকৃষ্ট করে। আর এই কথাকে মাথায় রেখেই দেব সাহিত্য কুটীর হেরিটেজ ফাউন্ডেশন থ্রিলার কাহিনি রচনার কলাকৌশল নিয়ে এক ওয়ার্কশপের আয়োজন করে।

শনিবার ভারত সভা হলে বিশিষ্ট থ্রিলার সাহিত্যিকদের নিয়ে এই ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে উপস্থিত ছিলেন দেব সাহিত্য কুটীরের কর্ণধার রুপা মজুমদার। তিনি এই অভিনব কর্মশালা প্রসঙ্গে বলেন, ‘দেব সাহিত্য কুটীর হেরিটেজ ফাউন্ডেশন অনেক বেশি মানুষের কাছে পৌঁছানোর জন্য মূলত কাজ করে। এটাও একটা তেমনই উদ্যোগ। রোজের জীবনে আমরা যেভাবে লড়েই চলেছি সেখানে একটুখানি অন্যরকম স্বাদ আমাদের দেয় থ্রিলার। তাই থ্রিলার সাহিত্যকে নিয়ে ভবিষ্যতে আরও এগিয়ে যাওয়ার চিন্তা-ভাবনা করেই আমার এই ওয়ার্কশপ করা। অনেক বিশিষ্ট থ্রিলার সাহিত্যিকরা এখানে এসেছেন। তাঁরা তাঁদের মূল্যবান মতামত দিয়েছেন, যা ভবিষ্যতে নতুন থ্রিলার সাহিত্যিক পাওয়ার ক্ষেত্রে কাজে লাগবে বলেই আমি মনে করি। এই প্রথম এমন একটা ওয়ার্কশপের আয়োজন করেছি আমরা। যদি এটা ফলপ্রসূ হয়, তাহলে আগামী দিনে এমন ওয়ার্কশপ করার আরও ইচ্ছা থাকবে।’

বিশিষ্ট থ্রিলার সাহিত্যিক অনিষ দেব বলেন, ‘দেব সাহিত্য কুটিরকে আমি ধন্যবাদ জানাব এমন একটা অভিনব উদ্যোগ নেওয়ার জন্য। বর্তমানে মানুষ সাহিত্য থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে বিভিন্ন কাজের চাপে। কিন্তু থ্রিলার একমাত্র মানুষকে বিনোদন দেয়। আর মানুষ সেই কল্পনার জগতে বাস করে বিনোদন উপভোগ করে। আমি আশা করব, যারা এই ওয়ার্কশপে এসেছেন ভবিষ্যৎ প্রজন্মের একজন থ্রিলার সাহিত্যিক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবেন।’

পাশ্চাত্য থ্রিলার ও ভারতীয় থ্রিলারের তুলনা করেন থ্রিলার সাহিত্যিক সৌভিক চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ‘মানুষ এখনও জেমস বন্ডকে পড়ে। মানুষের মধ্যে হাজার ব্যস্ততার মাঝেও থ্রিলার প্রেমটা আজও বেঁচে আছে। তাই থ্রিলার নিয়ে শুধু সাহিত্য নয়, সিনেমাও হচ্ছে এবং আগামী দিনেও হবে বলে আমি আশাবাদী।’

যারা ওয়ার্কশপে অংশগ্রহণ করতে এসেছিলেন তারও বেশ আগ্রহের সঙ্গে কাহিনি লেখার বিভিন্ন কৌশল জানতে পেরে খুশি হয়েছেন। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সাহিত্যিকদের ওয়ার্কশপ কাজে দেবে বলেই মনে করছে দেব সাহিত্য কুটীর হেরিটেজ ফাউন্ডেশন। সব মিলিয়ে শনিবাসরীয় এই থ্রিলার ওয়ার্কশপ বেশ জমজমাট ছিল, তা বলাই যায়।

Previous articleস্কুলছাত্রকে অপহরণ, কী হল তারপর?
Next articleযারা বাবরি মসজিদ ভাঙল, তাদের কি শাস্তি? প্রশ্ন সিপিআইএমের