প্রথমে কন্ট্রোল রুমে, পরে ভোররাত পর্যন্ত ফোনে নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী

শনিবার গভীর রাত অবধি ছিলেন নবান্নের কন্ট্রোল রুমে। তারপর ভোরের দিকে কালীঘাটের ফিরে গেলেও রাত জেগে ফোনে বারবার পরিস্থিতির খবর নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার কার্যত সন্ধ্য থেকে নবান্নের কন্ট্রোল রুমে চলে আসেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে স্বরাষ্ট্রসচিব,মুখ্য সচিব, নগরপাল, সরকারের শীর্ষ কর্তারা ছিলেন। এবং ছিলেন অন্যান্য কর্মীরা। তাঁদের সঙ্গে নিয়েই পরিস্থিতির উপর নজর রাখছিলেন। বুলবুল আছড়ে পড়ার পর সেখানকার জেলাশাসক, পুলিশ কর্তাদের সঙ্গে বারবার কথা বলেছেন, নির্দেশ দিয়েছেন। শেষে বুলবুলের তেজ কমে গিয়ে বাংলাদেশের দিকে প্রবেশ করলে তখন নবান্ন ছেড়ে বেরিয়ে বাড়ি ফিরেছেন মুখ্যমন্ত্রী। বারবার বলেছেন আক্রান্ত প্রতিটি এলাকায় কেউ যেন বাইরে বেরিয়ে না আসেন। প্রশাসন যতক্ষণ না সবুজ সংকেত দিচ্ছে। ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রী কর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন দুই মেদিনীপুর এবং দুই 24 পরগনায় বুলবুলে কতখানি ক্ষতি হয়েছে তার প্রাথমিক একটা পরিমাপ করতে এবং আক্রান্ত পরিবারগুলির পাশে দাঁড়াতে। সাগরদ্বীপ, সুন্দরবন এলাকার সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত। বাড়ি ভেঙেছে, গাছ উপড়েছে, বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙেছে। সেখানকার মানুষ ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন। কত দ্রুত তাদের বাড়ির এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় বিকল্প ব্যবস্থা তৈরি করে দেওয়া যায় তা প্রশাসনকে দেখতে বলেছেন।