‘বুলবুল’ থেকে ম্যানগ্রোভই বাঁচাল সুন্দরবনকে

বুলবুলের দাপটে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে সুন্দরবনের উপকূল এলাকা। প্রশাসনের তৎপরতায় ‘আয়লা’র মতো বহু প্রাণহানির ঘটনা আটকানো গেলেও, সুন্দরবন বিস্তীর্ণ এলাকায় বাড়ি ভেঙেছে, গাছি উপড়েছে। তবে আয়লার দাপটে যা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল, তা এড়ানো গিয়েছে। এর জন্য প্রশাসনিক তৎপরতার পাশাপাশি কাজে এসেছে সুন্দরবলের বিস্তৃর্ণ বেদাবন অর্থাৎ ম্যানগ্রোভ অরণ্য। এর জন্য শুধু সুন্দরবনই নয়, পরিবেশবিদদের মতে এর জেরে রক্ষা পেয়েছে আশপাশের অঞ্চলও।

ম্যানগ্রোভ জাতীয় গাছের বৈশিষ্ট্য হল মাটিকে আটকে রাখা। একই সঙ্গে ম্যানগ্রোভ অরণ্যের ফলে ঝড়ের দাপট আটকানো যায়। সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ ম্যানগ্রোভ তথা বেদাবনই ‘বুলবুল’-এর তাণ্ডব থেকে সুন্দরবনকে বাঁচিয়েছে। বাড়ি ভেঙেছে, তবে সেটাও আয়লা তুলনায় অনেক কম। বারবার পরিবেশবিদরা বলেছেন, ম্যানগ্রোভ অরণ্য সমুদ্রের নোনাজল বা ঘূর্ণিঝড় থেকে প্রাচীরের মত বাঁচায় ভূখণ্ডকে। কিন্তু সেই কথা উপেক্ষা করে অবাধে চলে জঙ্গল নিধন। ‘বুলবুল’-এর মতো ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় আটকে ম্যানগ্রোভ অরণ্য আবার নিজেদের উপকারিতা এবং প্রয়োজনীয়তা জানান দিল বলে মনে করছে পরিবেশবিদরা।

আরও পড়ুন-আজ আকাশপথে নামখানা, কাকদ্বীপের দুর্গত এলাকায় যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী

 

Previous articleঝাড়খণ্ডে দলের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা বিজেপির
Next articleরবিবাসরীয় সন্ধেয় ফিল্ম ফেস্টিভালে রাজের সঙ্গে প্রসেনজিৎ