৫৫০তম প্রকাশ পূরব উৎসবে গুরু নানকের নামে সংগ্রহশালা করার ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে শিখ ধর্মগুরু গুরু নানকের ৫৫০তম প্রকাশ পূরব উৎসবে গিয়ে তাঁর নামে সংগ্রহশালা করার ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রুবি হাসপাতালের পাশে গুরু নানকের নামে একটি ভবন তৈরি হবে। সেই মর্মে তিনি রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে দ্রুত জমি চিহ্নিত করে এক বছরের মধ্যে এই ভবন নির্মাণের নির্দেশ দেন। মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণার পর দারুণ খুশি কলকাতায় বসবাসকারী শিখ ধর্মালম্বী মানুষজন।

গুরু নানক প্রসঙ্গে এদিন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “গুরু নানক শুধু ভারতের নয়, সারা বিশ্বের ধর্ম গুরু ছিলেন। তাঁর মধ্যে কোনও ভেদাভেদ ছিল না। শান্তি-একতা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তিনি সবাইকে নিয়ে চলতেন। উনি প্রতিটি ভারতবাসীর আদর্শ। তাই গুরু নানককে হিন্দুরা যেমন গুরু মানেন, একইভাবে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষরা তাঁকে পীর মানেন। হিন্দু ধর্মালম্বী বালাজি ছিলেন গুরু নানকের ডান হাত। একইভাবে গুরু নানকের প্রিয় শিষ্যদের মধ্যে ছিলেন মারডানা ও আজমলের মতো মুসলিম সম্প্রদায়ের নেতাও।”

মুখ্যমন্ত্রী চান গুরু নানকের মত আরও গুরু যেন ভারতবর্ষের মাটিতে জন্ম নেন। তাঁর কথায়, “সম্প্রীতির পরম্পরা মজবুত রাখতে গুরু নানকের মতো আরও অনেক গুরুর প্রয়োজন আমাদের দেশের।” পাশাপাশি তিনি জানান, এই উৎসবে সুলতানপুর যাওয়ার জন্য পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে আমন্ত্রণ করেছিলেন। কিন্তু রাজ্যে ঘূর্ণিঝড় বুলবুল-এর জেরে বিপর্যস্ত লক্ষাধিক মানুষ। অনেকে ঘরবাড়ি-জমি হারিয়েছেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রায় পৌনে দু’লক্ষ মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে। তাকেও দুর্যোগপূর্ণ জায়গাগুলিতে যেতে হয়েছিল। মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে কাজ করতে হয়েছে। গুরু নানক এমন কাজই করতেন। গুরুকুলের আশীর্বাদে দুর্যোগ মিটেছে বলেই মনে করেন মুখ্যমন্ত্রী।

এরপর মুখ্যমন্ত্রী জানান, পাঞ্জাবের সব জেলায় তিনি ঘুরেছেন। অটল বিহারী বাজপেয়ী প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন তাঁর সঙ্গে আনন্দপুর গিয়েছিলেন বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী। আগামী দিনে আবার তিনি পাঞ্জাবে যাবেন।

Previous articleএনসিপি-কংগ্রেসকে সঙ্গে নিয়ে মহারাষ্ট্রে সরকার গড়ছে শিবসেনা
Next articleনাটকীয় মোড়, রাজ্যপালের দেওয়া ডেডলাইন শেষ, শেষ মুহূর্তে শিবসেনাকে ডোবালো কংগ্রেস- এনসিপি!