বাংলাদেশে এক কিলো পেঁয়াজের দাম এখন ৩০০ টাকা ছুঁতে চলেছে‌

প্রায় যে কোনও ইস্যুতেই অন্য রাজ্য বা অন্য দেশের সঙ্গে নিজেদের তুলনা টানার প্রশ্নে এদেশের রাজনীতিবিদরা ওস্তাদ। পেঁয়াজ-প্রশ্নে এমন তুলনা টানা হলে তাঁরা বলতেই পারেন, এ দেশের বা এ রাজ্যের মানুষ জলের দরেই পেঁয়াজ খাচ্ছেন।

বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, ওদেশে এক কিলো পেঁয়াজের দাম এখন ৩০০ টাকা ছুঁতে চলেছে!‌ শনিবার ঢাকা–সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় কেজি প্রতি ২৬০-২৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকেও পেঁয়াজ নিয়ে মাথা ঘামাতে হচ্ছে। শনিবার এক অনুষ্ঠানে হাসিনা বলেছেন, “পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধিতে যে সমস্যা দেখা দিয়েছে, তার সমাধানে কার্গো বিমান ভাড়া করে আমরা পেঁয়াজ আনা শুরু করেছি। রবি বা সোমবারের মধ্যে বিমানে পেঁয়াজ এসে পৌঁছাবে। পেঁয়াজ বিমানে উঠছে, কাজেই আর চিন্তা নাই।”

ওপারের সংবাদপত্র জানাচ্ছে, শনিবার ঢাকার খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ২৬০-২৮০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে। অথচ ১৫ দিন আগেও পেঁয়াজ ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। এই চিত্র শুধু রাজধানী ঢাকার নয়, গোটা দেশের। ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ায় এই পরিস্থিতি বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। ওদেশে পেঁয়াজ আমদানির ব্যবসা যারা করেন তাদের কথা, পেঁয়াজের সরবরাহ নেই। তুরস্ক থেকে পেঁয়াজ আসছে খুবই কম।মায়ানমারেও পেঁয়াজ নেই। সামান্য যা পেঁয়াজ আসছে, বেশিরভাগই পচা। দামও বেশি। ফলে চাহিদা অনুসারে যোগানে ঘাটতি চলছে। দাম তাই বাড়ছে হু হু করে। শুধু ঢাকা-তেই প্রতিদিন পেঁয়াজের চাহিদা ৬ হাজার টনের বেশি। সেখানে ৪০০ থেকে ৫০০ টনে কীভাবে চাহিদা মিটবে? প্রশ্ন ব্যবসায়ীদের।

এই মুহূর্তে গোটা বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশেই পেঁয়াজের দাম সবচেয়ে বেশি। যা অস্বাভাবিক। আন্তর্জাতিক অনলাইন মার্কেটপ্লেস ট্রিজ–‌এর তথ্য অনুযায়ী, ভারতে পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয় 62 সেন্ট, চিনে ২৮ সেন্ট, পাকিস্তানে ৩৯ সেন্ট ও মিশরে ১৭ সেন্ট কেজি দরে। বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজের গড় পাইকারি মূল্য ৬৮ সেন্ট, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৫৮-৫৯ টাকা। অথচ বাংলাদেশে পেঁয়াজের দাম এখন ২৬০-২৮০ টাকা।

আরও পড়ুন-গোলাপি-যুদ্ধ দেখতে ইডেনে আসছেন অমিত শাহ

 

Previous articleগোলাপি-যুদ্ধ দেখতে ইডেনে আসছেন অমিত শাহ
Next articleশ্রীলঙ্কার নতুন প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন গোতাবায়া