মাছ বেচতে বেচতে জোর করে দেওয়া লটারির টিকিট, কোটিপতি কাজলি

পাড়ার মাছ বিক্রেতা। মাছ বিক্রি করতে করতেই তার হাতে আর এক মাছ বিক্রেতা প্রশান্ত বাউরি গুঁজে দিয়ে গিয়েছিল গোটা কয়েক লটারির টিকিট। আর সেই টিকিটের দৌলতেই উখড়ার কাজলি মাজি কোটিপতি। এবারে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য লটারি পূজা বাম্পারের প্রথম পুরস্কার জিতে নিয়েছে কাজলি।

ঠিক কী হয়েছিল সেদিন? কাজলির মুখে শুনুন — সকালে মাছ বিক্রি করছি, হঠাৎ প্রশান্ত এসে বলল কটা টিকিট রেখে দে। গুনে দেখলাম কুড়ি টাকার দশটা টিকিট। ২০০ টাকা দিতে হবে ভেবে বিরক্ত লাগল। খেলা ছিল ১৪ অক্টোবর। পরদিন সকালে কাগজে নম্বর মেলাতে গিয়ে আমার চোখ তো ছানাবড়া। ভাল করে চোখ কচলে যতবার নম্বর মিলিয়ে দেখেছি ততোবারই বিশ্বাস হয়নি। কিন্তু কাউকে ঘুণাক্ষরেও জানতে দিইনি। বাড়িতে এসে স্বামীকে বলেছি, দাদাকে বলেছি। দুজনে সমস্ত নথি নিয়ে গিয়ে রাজ্য লটারি দফতরে জমা দিয়েছি।

গরিব কাজলির চোখে স্বপ্ন। সোলার ঝাড়ু বানিয়ে দিন চলে। সঙ্গে ১০০ দিনের কাজ। স্বামী রবিলাল দিনমজুর। সঙ্গে থাকে দাদাও। সেও ছোটখাটো কিছু কাজ করে। কোনওরকমে সংসার চলে যায়। লটারিতে কেটেকুটে কত টাকা পাবে তা এখনও জানেন না। তবে লটারির টাকা দিদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত থেকে নিতে চায় কাজল। তার কথায় মুখ্যমন্ত্রীর হাত থেকে পুরস্কার নিতে পারলে জীবন ধন্য হয়ে যাবে। আজকে যে করে খাচ্ছি, সেটা তো দিদির ১০০ দিনের কাজের দৌলতেই। টাকা জেতার পর এখন উখড়ার শঙ্করপুর গ্রামে লটারি টিকিট বিক্রি বেড়ে গিয়েছে। গত সেপ্টেম্বরে এক রিকশাচালক ৬ টাকার টিকিট কেটে ৫০ লক্ষ টাকা জিতেছিলেন!

Previous articleগোলাপি রঙে ঝলমল করছে রাতের গঙ্গা
Next articleশুরু সংসদের অধিবেশন