জেলা সফরে যেতে কারও অনুমতির প্রয়োজন নেই, স্পষ্ট অবস্থান ধনকড়ের

তাঁর বিরুদ্ধে যতই সীমা লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠুক না কেন, তিনি জেলা সফর করা অব্যাহত রাখবেন। সোমবার, শিলিগুড়িতে স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন দিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। এর জন্য তাঁর কারও অনুমতির প্রয়োজন নেই বলেও জানান তিনি।

এই শিলিগুড়িতেই মাস দুয়েক আগে জেলা সফর শুরু করেন জগদীপ ধনকড়। কিন্তু সাংবিধানিক প্রধানের ডাকা সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন না প্রশাসনিক কর্তারা। ছিলেন না শাসকদলের কোনও প্রতিনিধিও। এরপরেও উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনায় প্রশাসনের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করতে যান তিনি। কিন্তু সেখানও একই ছবি। বিশ্বভারতী থেকে ফেরার পথে পৌঁছে গিয়েছিলেন সিঙ্গুরে। সেখানেও বিডিও অফিসে কেউ ছিলেন না।

বিভিন্ন ইস্যুতে সরকার-রাজ্যপাল সংঘাত দেখা দিয়েছে। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে সীমা লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছেন শাসকদলের নেতা-মন্ত্রীরা। এমনকী, এই নিয়ে দিল্লিতে সর্বদল বৈঠকে অমিত শাহর সামনেই সরব হয়েছেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। সংসদে সুর চড়িয়েছেন সুখেন্দুশেখর রায়। কিন্তু সেই বিষয়ে বিন্দুমাত্র কর্ণপাত না করে, শিলিগুড়িতে রাজ্যপাল বলেন, তিনি সংবিধানের নামে শপথ নিয়ে বাংলার মানুষের জন্য কাজ করতে এসেছেন। সুতরাং তাঁর যেখানে মনে হবে, যাবেন। যে কোনও প্রান্তে যাওয়ার এক্তিয়ার তাঁর আছে। এর জন্য কারও অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন নেই।
রাজ্যপাল কাউকে কিছু না জানিয়েই জেলা সফরে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ ওঠে। তার জবাবে এদিন রাজ্যপাল বলেন, এই অভিযোগ ভ্রান্ত। তিনি রাজ্য সরকারকে জানিয়েই জেলায় যাচ্ছেন। ধনকড় প্রশ্ন তোলেন, তা না হলে সার্কিট হাউজে তাঁর থাকার ব্যবস্থা হল কী করে?

তাঁর বিরুদ্ধে যাঁরা কটাক্ষ করছেন, মুখ্যমন্ত্রীর তাঁদের নিয়ন্ত্রণ করা প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করেন রাজ্যপাল। পাশাপাশি তিনি অভিযোগ করেন, দায়িত্বভার নেওয়ার পর থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে অনেকবার চিঠি লিখলেও, কোনও উত্তর পাননি। রাজ্যপাল হিসেবে আসার পরে থেকেই জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে রাজ্যের সংঘাত লেগেই রয়েছে। তাঁকে ‘বিজেপির পার্টি ম্যান’ বলে আখ্যাও দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন, শিলিগুলিতে ধনকড়ের অবস্থান এই পরিস্থিতিতে ঘৃতাহুতি দিল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

Previous articleকোচবিহারে বিস্ফোরক মুখ্যমন্ত্রী : পার্টি কারওর বিষ গিলবে না
Next articleশহরে তিন বছরের শিশুর মৃত্যু ডেঙ্গুতে