রাজ্যের সরকারি আবাসনের ভাড়ার ফ্ল্যাট এবার লিজে দিতে চাইছে সরকার। ভাড়াটেদের বাকি রাখা ভাড়ার টাকার বকেয়া প্রায় দু’কোটি টাকা৷ বিভিন্ন দপ্তরের কাছে বকেয়া ১ কোটি ৭৬ লাখ টাকা৷ আবার সরকারি আবাসনের বেশ কিছু ভাড়ার ফ্ল্যাট আবার জবরদখল হয়ে আছে। সেখানেও ভাড়া আদায় করা যাচ্ছে না৷ বেশ কিছু ফ্ল্যাট নিয়ে আদালতে মামলা চলছে। সেখানেও বিশাল খরচ৷ সব মিলিয়ে সরকারি আবাসনের ভাড়ার ফ্ল্যাট নিয়ে নাজেহাল রাজ্য সরকার৷

সরকারি আবাসনের আর্থিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে সম্প্রতি এক সমীক্ষা চালানো হয়৷ সেই রিপোর্টেই এই তথ্য রয়েছে৷ তাই এবার সরকারি ভাড়ার ফ্ল্যাটের ফাঁস থেকে মুক্তি চাইছে সরকার। সরকারি আবাসন থেকে রোজগারে শৃঙ্খলা আনতে এ বার এই ধরনের ভাড়ার ফ্ল্যাটগুলি দীর্ঘমেয়াদি লিজে দিতে চাইছে আবাসন দফতর।
ওই রিপোর্টে জানানো হয়েছে, চলতি বছরের ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত প্রাপ্ত হিসেব অনুযায়ী, ২০১১-র আগস্ট থেকে ২০১৫-র অক্টোবর পর্যন্ত ব্যক্তি ভাড়াটেদের কাছ থেকে আবাসন দপ্তরের বকেয়া প্রায় ১ কোটি ৬৫ লক্ষ টাকা। একই সময়ে সরকারি বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার কাছে ভাড়ার টাকা বকেয়া আছে প্রায় ১ কোটি ৭৬ লক্ষ টাকা। দখল করে রাখা অসংখ্য ফ্ল্যাটের ভিতরে আসবাবপত্র ও বিভিন্ন গৃহস্থালির সামগ্রী ভর্তি। ফলে, তালা ভেঙে সেখানে ঢুকলেও দখল উচ্ছেদ করা সহজ নয়। এই সব কারনেই রাজ্যের আবাসন দফতর ভাড়ার ফ্ল্যাটগুলি দীর্ঘমেয়াদি লিজে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷

আরও পড়ুন-ফের মুঘলদের নিয়ে নয়া ঐতিহাসিক তথ্য দিলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী
