সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারে এগিয়ে জোড়াফুল, দৌড়ে বিজেপিও

ভোট প্রচারে সোশ্যাল মিডিয়া এখন হাতিয়ার শাসক-বিরোধী সব দলেরই। ছোট, বড় যে কোনও নির্বাচনেই ফেসবুক, টুইটার, হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে দলীয় প্রার্থীর হয়ে প্রচার চালায় বেশিরভাগ দল। টেক-স্যাভি বলে পরিচিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নতুন প্রজন্মের দৃষ্টিভঙ্গীকে মাথায় রেখে নিজের এবং দলের ফেসবুক পেজে আপডেট দেন সবসময়। টুইটার হ্যান্ডেলেও যে কোনও বিষয় নিয়েই মতামত, শুভেচ্ছা বার্তাও দেন তিনি। রাজ্যের ৩ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনে যেমন এলাকায় প্রচার চালাচ্ছে শাসকদল, তেমনই ফেসবুকেও নতুন পেজ খোলা হয়েছে। প্রতিটি পেজের নাম আলাদা। কালিয়াগঞ্জ বিধানসভার জন্য পেজ রয়েছে ‘কালিয়াগঞ্জ-এর গর্ব মমতা’। করিমপুরের জন্য ‘করিমপুর-এর গর্ব মমতা’। আর খড়্গপুরের জন্য রয়েছে ‘খড়্গপুর-এর গর্ব মমতা’।

পেজ খুললেই কভার ফটোতে রয়েছে দলীয় প্রার্থীর সঙ্গে তৃণমূল নেত্রীর ছবি। রয়েছে দলীয় প্রার্থীর প্রচারের ছবি। তার সঙ্গে বিভিন্ন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে ফেসবুক লাইভ করছেন পেজে। কোথাও আবার কন্যাশ্রী জানাচ্ছে, রাজ্য সরকারের উন্নয়নমূলক কাজের খতিয়ান। একইসঙ্গে জেলায় তথা রাজ্যে সরকারের কী কী উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত জানানো রয়েছে। তবে, সূত্রের খবর, তৃণমূল নেত্রীর নির্দেশ, কোনওরকম নেতিবাচক অর্থাৎ বিরোধীদের নিশানা করে কোনও আক্রমণাত্মক পোস্ট করা যাবে না। শুধুমাত্র দলীয় প্রার্থীর সম্পর্কে, দলের সম্পর্কে এবং সরকারের উন্নয়নমূলক কাজের সম্পর্কে এই পেজগুলিতে পোস্ট করতে হবে। স্যোশাল মিডিয়াকে মাধ্যম করে ভোটার বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের ভোটারের কাছে পৌঁছতে চাইছে তৃণমূল।

এই তালিকায় পিছিয়ে নেই বিজেপিও। তারাও উপনির্বাচনগুলি নিয়ে ফেসবুকে পেজ খুলেছে। সেখানে দলীয় প্রার্থীর হয়ে প্রচার করছেন বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব।

ফেসবুকে প্রচার চালাচ্ছে কংগ্রেসও। কিন্তু সেটা তৃণমূল-বিজেপির মতো অত বিস্তৃত নয়। এলাকায় মাটি কামড়ে পড়ে থেকে দলীয় প্রার্থীকে জেতানোর চেষ্টার পাশাপাশি, সোশ্যাল মিডিয়াকে হাতিয়ার করে ভোটের ময়দান দখল করতে চাইছে জোড়াফুল ও পদ্ম।

আরও পড়ুন-ছবিতে হাসিনা-মমতার হাত ধরে ক্রিকেটের নন্দনকাননে ইতিহাস তৈরির সন্ধিক্ষণের মুহূর্ত

Previous articleটোপ দিয়ে ২ বেআইনি অস্ত্র ব্যবসায়ীকে ধরল পুলিশ
Next articleমহারাষ্ট্রে সুবিধাবাদী জোট সরকার বড় জোর ৬ থেকে ৮ মাস চলবে: গডকড়ি