শরদ পাওয়ার কিছুই জানতেন না! কথাটা হজম হচ্ছে না অনেকেরই

মহারাষ্ট্রে মহা-নাটকের ক্ল্যাইম্যাক্স রচনা হয় শনিবার সাতসকালে। ঠিক তার পরপরই এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ার দায় এড়ানো ট্যুইট করে সব দোষ ভাইপো অজিতের ঘাড়ে ঠেলেছেন। সাফাই দিয়েছেন, তিনি কিচ্ছুটি জানতেন না, যা করার ভাইপো করেছেন, তিনি এসব সমর্থন করেন না। যদি দলের প্রধান হিসাবে তাঁকেই অন্ধকারে রেখে এতবড় কান্ড হয় যার বিন্দুবিসর্গ তাঁর জানা ছিল না, তাহলে এত বড় ব্যর্থতার দায় নিয়ে শরদ পাওয়ারের তো সঙ্গে সঙ্গে পদত্যাগ করা উচিত। তিনি কি তা করবেন? অথবা অজিত পাওয়ার সহ অধিকাংশ বিধায়ককে দলবিরোধী কাজের দায়ে বহিষ্কার? এখন তাঁর প্রতিটি পদক্ষেপই প্রমাণ করবে তাঁর ট্যুইট-বাণী কতটা বিশ্বাসযোগ্য!

তবে রাজনৈতিক মহল পাওয়ারের সাফাই এত সহজে বিশ্বাস করছে না। মহারাষ্ট্র ভোট-পরবর্তী পরিস্থিতিতে তাঁর পদক্ষেপ ইতিমধ্যেই বহু প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। শরদ পাওয়ার ও তাঁর ভাইপো অজিত দুজনের বিরুদ্ধেই আর্থিক অভিযোগের তদন্ত করছে ইডি। সর্বোপরি এই সপ্তাহে শরদ পাওয়ার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দীর্ঘ 45 মিনিট বৈঠক করেন। শোনা যায়, বিজেপি তাঁকে পরবর্তী রাষ্ট্রপতি করার অফার দিয়েছে। ফলে এখন শরদ পাওয়ার যে যুক্তিই সামনে আনুন না কেন, তাঁর মত ধুরন্ধর রাজনীতিককে শুধুমাত্র তাঁর একটি বিবৃতি দিয়ে বোঝা সম্ভব নয়। এই মহা-নাটকের শেষ অঙ্কে তাঁর ভূমিকা ছিল না এটা মানা সত্যিই কঠিন। সাধে কী আর শিবসেনার সঞ্জয় রাউত বলেছেন, পাওয়ারের একটা কথার মানে বুঝতে একশ বছর জন্মাতে হবে!

Previous articleরাতের শহরে একের পর এক দুর্ঘটনা, মৃত দুই বাইক আরোহী
Next articleদেউলটিতে তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ, দোকানে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ