রাত জেগে অপারেশন সারলেন মোদি-শাহ। আর তাতেই সফল ‘অপারেশন মহারাষ্ট্র’। রাত ন’টায় যখন অজিত পাওয়ার ত্রিপাক্ষিক বৈঠক করছেন উদ্ধব ঠাকরের বাড়িতে, তখন তাঁর সঙ্গে দিল্লি থেকে কথা বলতে চেয়ে আসে হোয়াটসঅ্যাপ। ফলে বৈঠকের মাঝখান থেকেই তিনি উঠে যান। যে নিয়ে পরে কটাক্ষও করেছেন পরে শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত। গাড়িতে বসেই কথা শুরু হয় দিল্লির সঙ্গে। অজিত গোষ্ঠীর সূত্রে খবর, সরাসরি অজিতের ফোনে কখনও ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, কখনও বিজেপির কার্যনির্বাহী সভাপতি জেপি নাড্ডা। বারে বারেই ফোনের অন্যপ্রান্ত থেকে বলা হয় প্রধানমন্ত্রী জেগে রয়েছেন। আপনার সিদ্ধান্তের উপর বাকি সিদ্ধান্তগুলি নির্ভর করছে। পাল্টা অজিতের তরফ থেকে বলা হয়, আমি ২৫জন বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে বেরোতে পারব। কিন্তু বাকি সংখ্যা কোথা থেকে আসবে? পাল্টা উল্টোপ্রান্তে দিল্লির তরফ থেকে বলা হয় চারটি বড় দল বাদ দিলে অর্থাৎ বিজেপি, শিবসেনা, এনসিপি, কংগ্রেসের আসন বাদ দিলে প্রায় ২৯টি আসন রয়েছে নির্দল ও ছোট দলগুলির। তারমধ্যে প্রায় ২০জন বিধায়কের সঙ্গে বিজেপির আগে থেকেই কথা হয়ে রয়েছে। ফলে বিজেপি এই দলগুলিকে নিয়ে সংখ্যায় ১৩০ হয়ে রয়েছে। অজিত যদি ২০ জনকেও নিয়ে বেরিয়ে আসতে পারেন, তাহলে সরকার তৈরি করতে পারবে বিজেপি। এক্ষেত্রে অজিতকে কী দেওয়া হবে? উপ-মুখ্যমন্ত্রিত্ব বাদ দিয়ে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ দফতর তাঁকে দেওয়া হবে। অবশ্যই অর্থ দফতর নয়। রাতেই নিজের গোষ্ঠীর বিধায়কদের বাড়িতে ডেকে নেন অজিত। জানান দিল্লি বিজেপির সঙ্গে কথার সারাংশ। তাঁরা রাজি হওয়াতেই ‘কনফার্ম’ রিপোর্ট দেন। রাত তখন আড়াইটে। রাজ্যপাল ভগৎ সিংকেও জেগে থাকতে বলা হয়েছিল। সিদ্ধান্ত হয়, সকাল ছ’টাতেই রাষ্ট্রপতি শাসন তুলে নিয়ে আটটায় শপথের বিজ্ঞপ্তি জারি করতে। সকাল আটটাতেই রাজভবনে হবে শপথ। ভোর তিনটে নাগাদ বিছানায় গেলেন মোদি-শাহ জুটি। সফল ‘অপারেশন মহারাষ্ট্র’।