বিরোধী প্রতিবাদে দুই সভার কাজ থমকে গেল

মহারাষ্ট্রে সরকার গড়ার উদ্যোগের উত্তাপ পৌঁছল সংসদেও। প্রবল প্রতিবাদের জেরে সারাদিনের কাজ আটকে যায়। মুলতবি হয় অধিবেশন। অভিযোগ, মহারাষ্ট্রে চুরি করে বিজেপি ক্ষমতায় এসেছে। এই জন্যে সকালেই কংগ্রেস সাংসদরা গান্ধীমূর্তির সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন। সকালেই চলে আসেন সোনিয়া গান্ধী, অধীর চৌধুরী-সহ নেতৃত্ব। হাতে প্ল্যাকার্ড — ‘গণতন্ত্র হত্যা বন্ধ কর’, ‘ঘোড়া কেনাবেচা বন্ধ কর’, ‘নোংরা রাজনীতি বন্ধ কর’, সংবিধান বাঁচাও, গণতন্ত্র বাঁচাও’। লোকসভার অভ্যন্তরে তুমুল হট্টগোল সামাল দিতে ব্যর্থ স্পিকার ওম বিড়লা সকলকে শান্ত হতে বললেও তাতে কর্ণপাত করেনি। দুই কংগ্রেস সাংসদ পোস্টার দেখালে তাঁদের সংসদ থেকে আজকের মতো বহিষ্কার করেন। বের করতে গিয়ে মার্শালদের সঙ্গে চলে আর এক প্রস্থ লড়াই। এই অবস্থার মাঝে প্রথমে বারোটা পর্যন্ত অধিবেশন মুলতবি হয়। ফের শুরু হলে ফের উত্তাপ ছড়ায়। ফের বেলা ২টা পর্যন্ত মুলতবি হয়।

অন্যদিকে রাজ্যসভায় মহারাষ্ট্র ইস্যুতে তৃণমূল, ডিএমকে, কংগ্রেস, বামেরা প্রতিবাদ জানায়। স্পিকার ভেঙ্কাইয়া নাইডুর অনুরোধে তাঁরা কর্ণপাত করেননি। দশ মিনিট ধরে এই পর্ব চলার পর দুপুর দুটো পর্যন্ত মুলতবি হয় সভা।

Previous articleতিন আসনেই জিতব, ভোটের পর দাবি বিজেপির
Next articleকালিয়াগঞ্জ-এ বিজেপি প্রার্থী ভুল করেছেন, স্বীকার করলেন মুকুল