রাজ্য বিধানসভায় সংবিধান দিবস উদযাপন উপলক্ষে 4 রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত তুঙ্গে। রাজ্যপাল জাগদীপ ধনকড়-এর দাবি ছিল, তিনি অপমানিত। চ্যালেঞ্জের মুখে কাজ করতে হচ্ছে তাঁকে। তবে তাঁর মান-অভিমান বা ক্ষোভের কথা, সংবিধান দিবস বলতে চান না। সঠিক সময় মত উত্তর দেবেন তিনি আগেই বলেছিলেন। সেই ভাবেই আজ, বুধবার সকালে ঠিক সেখান থেকেই যেন শুরু করলেন ধনকড়। একের পর এক টুইট করলেন। প্রশ্ন তুললেন মুখ্যমন্ত্রীর সৌজন্যবোধ নিয়ে।

টুইটে ধনখড় লেখেন, “আমার সবচেয়ে অদ্ভূত লাগল, যখন আমি বিধানসভায় গেলাম, মুখ্যমন্ত্রী উদাসীন রইলেন। আমি যখন বি আর আম্বেদরের মূর্তিতে মালা দিতে যাচ্ছিলাম,তখনও বিধানসভার নেতা হিসাবে এগিয়ে আসেননি মুখ্যমন্ত্রী। আমি এটা আশা করিনি। আমি সবার সঙ্গে কথা বলেছি, যাঁরা সৌজন্য দেখাতে এগিয়ে আসেন। আমি কখনওই কাউকে সৌজন্য দেখাতে কুণ্ঠাবোধ করি না। বিশেষত মুখ্যমন্ত্রী, যাঁর প্রতি আমার ব্যক্তিগত শ্রদ্ধা অগাধ। আমি স্তম্ভিত হয়ে গেলাম, মুখ্যমন্ত্রী পুরোপুরি উদাসীন রইলেন।”
তবে ছেড়ে কথা বলা পাত্র নন, রাজ্য সরকারের বিধায়ক- মন্ত্রীরাও। রাজ্যপালের বিতর্কিত টুইটের পরই আসরে নামেন তিন মন্ত্রী। বিধানসভার অধিবেশনে দাঁড়িয়েই নাম না করে ধনকড়কে বিঁধলেন পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “সংবিধানের সত্তর বছর পূর্তির পরও আমাদের ব্যবহার জমিদারের মত। লাটসাহেবের মত। সংবিধান এই অধিকার কি তাঁকে দিয়েছে? নির্বাচিত সরকারি প্রধানকে হেয় করা কি সাংবিধানিক?”

পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, “রাজ্যপাল কোনও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি হয়ে কাজ করতে পারেন না। এখানে দেখলাম প্রধানমন্ত্রীর নাম নেওয়া হল,কিন্তু রাজ্যের সম্পর্কে বলা হল না। এটা রাজ্যপালের পদকে কলঙ্কিত করা।”

থেমে থাকেননি চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যও। প্রশ্ন তুলেআইনমন্ত্রী বলেন, “যেভাবে কাল রাজ্যপাল বলেছেন তারপর টুইট করেছেন, বোঝাই যাচ্ছে যে কে কার সঙ্গে কী ব্যবহার করেছে! এই প্রশ্ন তো উঠতেই পারে আজকের দিনে তাঁর পদের প্রয়োজনীয়তা আছে কি নেই?”

মন্ত্রীরা দাবি করেছেন, সাংবিধানিক পদের মর্যাদা রক্ষা করতে পারছেন না রাজ্যপাল। কোথাও কোথাও নিরপেক্ষতাও লঙ্ঘিত হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের অনেকেও মনে করছেন ,বাড়াবাড়ি করছেন রাজ্যপাল। এবং তিনি কেন্দ্রীয় সরকার বা নরেন্দ্র মোদির দ্বারা প্রভাবিত।
