বর্ণময় শিবাজি পার্কে বাল ঠাকরের নীরব উপস্থিতি

ঘড়িতে ঠিক ৬.৪০ মিনিট। শিবাজি পার্ক। তিল ধারণের জায়গা নেই। অসংখ্য ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা, ড্রোন এবং পুলিশে পুলিশে ছয়লাপ। এখনেই হয়েছিল বালাসাহেবের শেষকৃত্য।

ঠাকরে জমানো শুরু মহারাষ্ট্রে। জোট সরকার। যার আভিধানিক নাম মহারাষ্ট্র বিকাশ আগড়ি। আধঘন্টার শপথ অনুষ্ঠান। শেষে জাতীয় সংগীত। উদ্ধব ঠাকরে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন, সঙ্গে আরও ৬জন মন্ত্রী। শপথ নেননি অজিত পাওয়ার। রাতে বসছে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠক।

পরনে গেরুয়া সিল্কের পাঞ্জাবি, কপালে তিলক, অনেকটা বাল ঠাকরের পোশাকের সঙ্গে মিল। উঠেই প্রণাম করলেন শিবাজী মূর্তিকে। পাশেই আতশবাজির ফোয়ারা। সন্ধ্যার আকাশে তখন শুধু আলোর ঝলকানি। শপথবাক্য পাঠ করেই মঞ্চে হাঁটু গেড়ে বসে পড়লেন। জনতাকে কুর্নিশ জানালেন শিব সেনাপতি। শপথ বাক্য পাঠ করতে গিয়ে অনেকেই তাঁদের দলের শীর্ষ নেতার নাম উল্লেখ করেন।

শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে মিনিট পনের আগেই চলে আসেন শরদ পাওয়ার। ছিলেন সোনিয়া গান্ধীর প্রতিনিধি কপিল সিব্বল আহমেদ প্যাটেল, মল্লিকার্জুন খাড়গে। এনসিপি নেতা প্রফুল্ল প্যাটেল ছিলেন। এসেছিলেন ডিএমকে প্রধান এম কে স্ট্যালিন, টি আর বালু। উদ্ধব বিধায়ক নন। ফলে ৬মাসের মধ্যে তাঁকে ভোটে জিতে আসতে হবে। ছিলেন উদ্ধবের দাদা রাজ ঠাকরেও। শিবাজি পার্কে উদ্ধবের সঙ্গে শপথ নিলেন এনসিপির জয়ন্ত পাতিল, ছগন ভুজবল, একনাথ শিন্ডে, সুভাষ দেশাই, নীতিন রাউত, বালাসাহেব থোরাট।

সবচেয়ে বড় প্রশ্ন, অজিত পাওয়ার কি মন্ত্রী হবেন? শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের আগেই অজিত জানান, তিনি আজ শপথ নিচ্ছেন না। তাঁর কথার দিয়ে পরিষ্কার মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণের সময় অজিতের নাম বিবেচনায় রয়েছে। কিংবা আরও পরিষ্কার করে বলা যায় তিনি যে মন্ত্রী হতে চলেছেন সেটা নিশ্চিত। প্রাথমিকভাবে ঠিক হয়েছিল তিন দল থেকে দু’জন করে শপথ নেবেন। সেই সিদ্ধান্ত মেনেই ঐতিহাসিক মুহূর্ত তৈরি হল শিবাজি পার্কে। তিন দলের জোট সরকারে তৈরি হয়েছে অভিন্ন ন্যূনতম কর্মসূচি। যেখানে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে পর্যটন শিল্প, প্রবীণ নাগরিকদের বিশেষ সুবিধা, গরিবদের জন্য খাদ্যের যোগান দেওয়া, সামাজিক বৈষম্য দূর করা, খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থানের ব্যবস্থা করা, শিক্ষা ও বেকারত্ব বিষয়ে অধিকাংশ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর উপর।

Previous articleপ্রজ্ঞার মন্তব্যের জন্য দল ওর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে: অমিত শাহ
Next articleঅসমের এনআরসির ভুল থেকে ‘শিক্ষা’ নেওয়ার কথা বললেন অমিত শাহ