ক্ষোভের আগুনে পুড়ছে ইরাক

ক্ষোভের আগুনে পুড়ছে ইরাক। কোনও না কোনও কারণে ইরাকে বেঁধে যাচ্ছে দ্বন্দ্ব। অক্টোবরের শুরু থেকেই আন্দোলনে ফেটে পড়েছে ইরাক। আন্দোলনে ইতিমধ্যে কয়েকশ মানুষ নিহত হয়েছে। গত শুক্রবার পদত্যাগ করেছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী আদেল আবদেল মাহদি। কিন্তু বিক্ষোভকারীরা বলছেন, কিছুদিন জিরিয়ে নিয়ে ফের পথে নামবেন। আদেল বিদায় হয়েছেন, ভালো হয়েছে। কিন্তু দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের লড়াই চলবে।

বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছে, তাদের আন্দোলন কোনও নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা দলের বিরুদ্ধে নয়। তারা লড়াই করছে একটা সিস্টেমের বিরুদ্ধে। ২০০৩ সালে মার্কিন নেতৃত্বাধীন বাহিনী ভুতপূর্ব শাসক সাদ্দাম হুসেনের পতন ঘটানোর পরে দেশে ওই সিস্টেম চালু হয়েছে। তার শিকার হচ্ছেন হাজার হাজার তরুণ-তরুণী।

প্রায় দুই মাস ধরে চলা এই আন্দোলনে বাগদাদ ও এর আশপাশের শহরগুলোতে ৪০০ জনেরও বেশি নিহত ও ১৫ হাজারেরও বেশি আহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে ৪৪ বিক্ষোভকারী নিহত ও ১ হাজারেরও বেশি আহত হন। শুক্রবারও নাজাফ ও নাসিরিয়া শহরে পুলিশের গুলিতে দুজন নিহত হয়েছেন।

বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, ইরাকে যোগ্যতার ভিত্তিতে কেউ সরকারি চাকরি পায় না। প্রতিটি ক্ষেত্রে আছে কোটা। বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায় ও জাতির আলাদা আলাদা সংরক্ষণ আছে। তার ভিত্তিতে চাকরি দেওয়া হয়। নানা গোষ্ঠীর নেতারা দেশের সম্পদ লুঠ করেন। তাঁরা এক একজন বিরাট ধনী হয়ে উঠেছেন। তাঁদের অনুগামীদেরও ধনসম্পত্তি কম নেই। এর ফলে সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

Previous articleহায়দরাবাদ ধর্ষণ-খুন কাণ্ডের প্রতিবাদে মন্দাক্রান্তার বিশেষ কবিতা
Next articleহায়দরাবাদের ঘটনা বিরাট ‘লজ্জাজনক’, প্রতিবাদে এগিয়ে আসার ডাক ক্যাপ্টেন কোহলির