হাতে ডেবিট কার্ড। অ্যাকাউন্ট বা পিন নম্বর শেয়ার করা হয়নি কারো সঙ্গে। তবু শনিবার রাত থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত গ্রাহকদের অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও হচ্ছে টাকা। প্রধানত দক্ষিণ কলকাতার যাদবপুর এলাকায় বহু গ্রাহক এই এটিএম জালিয়াতির শিকার হয়েছেন। শেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত কমপক্ষে ৪০ জন অভিযোগ দায়ের করেছেন পুলিশের কাছে। লালবাজার সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই গোয়েন্দা বিভাগের ব্যাঙ্ক জালিয়াতি দমন শাখা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। তবে ঠিক কোন পদ্ধতি ব্যবহার করে এটিএম জালিয়াতি হচ্ছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। এটি স্কিমারদের কাজ বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান গোয়েন্দাদের।
সোমবার সকাল হতে না হতেই একের পর এক অভিযোগ জমা পড়তে থাকে যাদবপুর থানায়। ব্যাঙ্কের তরফ থেকে অবশ্য গ্রাহকদের ৭ দিনের মধ্যে টাকা ফেরত পাওয়া যাবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। তবে গ্রাহকদের অভিযোগ, তাঁদের কাছে যে টাকা তুলে নেওয়ার এসএমএস ঢুকেছে সেগুলি বেশিরভাগই রাজ্যের বাইরের এটিএম থেকে তোলা হচ্ছে। এক্ষেত্রে এটিএম কার্ড ক্লোন করার হয়েছে বলে সন্দেহ গোয়েন্দাদের।
কারও বেতনের অ্যাকাউন্ট, কারও আবার পেনশন অ্যাকাউন্ট সুতরাং এভাবে টাকা গায়েব হয়ে যাওয়ায় আতঙ্কিত গ্রাহকরা। কেউ কেউ অনলাইনে কার্ড ব্লক করতে পারলেও সবাই সেটা পারেননি। ফলে দফায় দফায় টাকা গায়েব হয়েছে। ঘটনার জেরে রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়েছে। এটিএম জালিয়াতি কাণ্ডে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা
আরও পড়ুন-বিডিওবিতর্কে কুণালের পাল্টা : নগরপাল তো জ্যোতিবাবুকে মনীষী বলতেন!