১৩০ বছর! জানেন কি, বাংলার প্রথম শহিদের আজ জন্মদিন?

১৯০৮ সালে বৈশাখের এক সন্ধ্যায় ঊনিশ বছরের ক্ষুদিরাম বসু আর সদ্য যুবা প্রফুল্ল চাকি অত্যাচারী ম্যাজিস্ট্রেট কিংসফোর্ডকে খুনের অভিযানে নেমেছিলেন। ক্ষুদিরামের বোমায় ভুলক্রমে মারা গেলেন কেনেডিরা। ধরা পড়ে গেলেন ক্ষুদিরাম। আর তার পর বিচারে ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রথম শহিদ মেদিনীপুরের এই বিপ্লবীর ফাঁসি হলো মুজফ্ফরপুরেই।

কিংসফোর্ডকে হত্যার উদ্দেশ্যে মুজফ্ফরপুর আসা ক্ষুদিরাম বসু আর প্রফুল্ল চাকির নিশানা ব্যর্থ হয়েছিল। ঘটনার পর ধরা পড়লে প্রফুল্ল চাকি নিজেকে গুলি করে আত্মবলিদান দিয়েছিলেন। আর ক্ষুদিরাম ধরা পড়েছিলেন। তার পর মুজফ্ফরপুরে জেলবন্দি। মাত্র মাস চারেকের মুজফ্ফরপুর পর্ব। ১১১ বছর আগে স্বাধীনতার জন্য শহিদ ক্ষুদিরামের আত্মবলিদান আজও গৌরবের সঙ্গে স্মরণ করে মুজফ্ফরপুরের মানুষ।

ক্ষুদিরামের চিতাভূমিও মুজফ্ফরপুরেই। মুজফ্ফরপুর কারাগার ১৯৯৫ সালে নাম বদলে হয়েছে ‘শহিদ ক্ষুদিরাম বোস কেন্দ্রীয় কারা’। ক্ষুদিরামের স্মৃতিবিজড়িত সংরক্ষিত কক্ষ যেমন আছে, তেমনই প্রফুল্ল চাকির নামেও আছে সংরক্ষিত এলাকা। ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত ক্ষুদিরাম তাঁর শেষ চিঠিতে জন্মভূমি মেদিনীপুরে এক বার যেতে চেয়েছিলেন। সে ইচ্ছে অপূর্ণই থেকে গিয়েছে।

ক্ষুদিরামের নামে স্টেশনের নামকরণ হয়েছে বিহারেই। সমস্তিপুর জেলার পুসা রেলস্টেশন এখন ‘ক্ষুদিরাম বোস পুসা’। মুজফ্ফরপুর থেকে ৪০ কিমি দূরত্বের এই রেলস্টেশনের পাশের এক দোকান থেকেই ক্ষুদিরামকে ধরেছিল পুলিশ।

আজ সেই দিন। ১৮৮৯ সালের ৩ ডিসেম্বর, পশ্চিম মেদিনীপুরের মৌবনী (হাবিবপুর)-এ জন্ম বাংলার বীর শহিদের। বাংলা কি তাঁকে একটি ফুল বা মালার স্মরণেই কর্তব্য পালন করবে!