আইন আসছে, ছেলে- মেয়ে বা জামাই-বৌমা’র দায়িত্বও কম নয়, ব্যর্থ হলে জেল-জরিমানা

আইন আসছে, ছেলে- মেয়ে বা জামাই-বৌমা’র দায়িত্বও কম নয়, ব্যর্থ হলে জেল-জরিমানা

প্রবীণদের মর্যাদাপূর্ণ জীবনযাপন এবং তাঁদের আর্থ-সামাজিক নিরাপত্তা সুদৃঢ় করতে কঠোর আইন আনতে চলেছে কেন্দ্র৷
কেন্দ্রের নতুন আইনের সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, ছেলে-মেয়ে বা জামাই-বৌমা বাবা-মা অথবা শ্বশুর-শাশুড়ির প্রতি দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে বাধ্য থাকবেন। পালন না-করলে বিলে জেল এবং জরিমানা দুইয়ের ব্যবস্থা আছে৷

দেশের প্রবীণদের ন্যূনতম প্রয়োজন, সামাজিক নিরাপত্তা ও আর্থ সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে 2007 সালের ‘মেইনটেন্যান্স অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার অফ পেরেন্টস অ্যান্ড সিনিয়র সিটিজেন্স অ্যাক্ট’, এই আইনটির প্রয়োজনীয়
সংশোধনের জন্য নতুন বিল সংসদে পেশ হতে চলেছে৷ বুধবারই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে বিলটি সংসদে পেশের অনুমোদন মিলেছে। বিল পাশের পর সংশোধিত আইনে বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত হবে।

নতুন আইনে বলা হয়েছে :

[][] নতুন আইনের প্রেক্ষিতে এবার থেকে বিয়ের পরেই মা-বাবার প্রতি মেয়ের কর্তব্য শেষ হয়ে যাবে না।

[][] মেয়ে তো বটেই, প্রয়োজনে জামাইকেও শ্বশুর-শাশুড়ির দায়িত্ব নিতে হবে।

[][] মা-বাবার দায়িত্বগ্রহন এবং তাঁদের প্রতি কর্তব্যপালন ছেলে ও মেয়েদের করতেই হবে৷

[][] বৌমাকেও শ্বশুর- শাশুড়িকে মর্যাদার সঙ্গে দেখভাল করতে হবে৷

[][] সন্তান ও অভিভাবকের সংজ্ঞায় মেয়ে, জামাই, বৌমার দায়িত্ব ও কর্তব্য নতুন ভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে৷

[][] 2007 সালের আইনে বয়স্কদের ভরণপোষণের জন্য প্রয়োজনে সর্বোচ্চ 10 হাজার টাকা করে দেওয়ার কথা বলা ছিলো৷

[][] নতুন বিলে অশীতিপর বা তার চেয়ে বেশি বয়স্কদের ক্ষেত্রে সেই সর্বোচ্চ সীমার বিষয়টি বাদ দেওয়া হচ্ছে। কেন্দ্র মনে করছে, মাসিক ওই টাকায় গ্রাম বা ছোট শহরে জীবন কাটাতে পারলেও বড় শহরগুলিতে জীবনযাপনের খরচ অনেক বেশি। বৃদ্ধ মা-বাবার প্রয়োজনে ট্রাইবুনাল কোনও সন্তানকে ওই টাকা দেওয়ার নির্দেশ দিলে ছেলে বা মেয়ে তা দিতে বাধ্য থাকবেন। তা পালন না-করলে বিলে জেল এবং জরিমানা দুইয়ের সংস্থানই রাখা হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট নতুন আইনে সরকারকেও বাধ্যতামূলকভাবে বেশ কিছু কাজ করতে বলা হচ্ছে :

[][] বয়স্কদের অভিযোগ শোনা ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রতিটি থানায় থাকবেন এক জন নোডাল অফিসার।

[][] জেলা স্তরে থাকবে পুলিশের বিশেষ টিম।

[][] চালু করতে হবে হেল্প লাইন নম্বর।

[][] প্রবীণদের পরিচর্যার কাজের সঙ্গে যুক্ত সংস্থা ও প্রবীণদের থাকার হোমগুলিকে প্রবীণদের
নিরাপত্তার স্বার্থেই রাজ্যকে নথিভুক্ত করতে হবে।

দেশের বর্তমান জনসংখ্যার বড় অংশই প্রবীণ। 1951 সালে দেশে প্রবীণদের সংখ্যা ছিল 1 কোটি 98 লক্ষ। 2021 সালের মধ্যে এ দেশে বয়স্ক মানুষের সংখ্যা 14 কোটি 34 লক্ষে পৌঁছতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

Previous articleগেটই খুলল না বিধানসভার, হেঁটে সাধারণ গেট দিয়ে বিধানসভায় রাজ্যপাল
Next articleতিহার থেকে মুক্তি পাওয়ার ১২ ঘণ্টার মধ্যেই সংসদে হাজির পি চিদম্বরম