Thursday, December 4, 2025

ফের ট্যুইট, ফের নীতিশের সমালোচনায় প্রশান্ত কিশোর, বিচ্ছেদ কি আসন্ন ?

Date:

Share post:

নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল বা CAB-কে রাজ্যসভাতেও সমর্থন করায় ফের মুখ খুললেন প্রশান্ত কিশোর। JDU-সুপ্রিমো নীতিশ কুমারের দলের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি তথা ভোটগুরু প্রশান্ত কিশোর বুধবার এক ট্যুইটে লিখেছেন, “রাজ্যসভায় নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের পক্ষে ভোট দিতে সম্মত হয়ে নীতিশ কুমার বিহারের ভোটারদের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করলেন”।

গত সোমবার লোকসভায় JDU এই বিল সমর্থন করার পরেও প্রশান্ত কিশোর তাঁর নিজের দলের নেতৃত্বেরই কড়া সমালোচনা করেছিলেন৷ নাগরিকত্ব বিল নিয়ে JDU- সুপ্রিমো নীতিশ কুমারের বিরুদ্ধে তাঁরই দলের জাতীয় সহ সভাপতির এই ধারাবাহিক আক্রমণকে নিয়ে জল্পনা এখন তুঙ্গে ৷

তাহলে কি প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে নীতিশ কুমারের বিচ্ছেদ পাকা ? ট্যুইটে প্রশান্ত কিশোর নীতিশকে মনে করিয়ে দিয়েছেন, ২০১৫ সালে বিহার বিধানসভার ভোটে RJD এবং কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে নীতিশ কুমারের জয় এসেছিল। ফের ২০১৭ সালে তিনি লালুপ্রসাদের RJD এবং কংগ্রেসের হাত ছেড়ে বিজেপির হাত ধরেছিলেন। লোকসভায় JDU সাংসদরা এই বিলের পক্ষে ভোট দেওয়ায় দুঃখপ্রকাশ করেন প্রশান্ত কিশোর ওরফে পিকে। তিনি ট্যুইটে লিখেছিলেন, দেখে খারাপ লাগছে ধর্মের ভিত্তিতে যে নাগরিকত্ব বিল নিয়ে আসা হয়েছে তাতে সমর্থন করছে JDU। বুধবার রাজ্যসভায় এই বিল পেশের সময় ফের প্রশান্ত কিশোরের এই ট্যুইটে দলের সঙ্গে তাঁর সংঘাতই দেখছে রাজনৈতিক মহল।

আরও পড়ুন-অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির অধীনে এনকাউন্টার মামলার তদন্তের প্রস্তাব শীর্ষ আদালতের

spot_img

Related articles

কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন! দ্রুত কমছে এসআইআর-এ ভোটারহীন বুথ 

এসআইআর-এর ভোটারহীন বা ‘শুষ’ বুথগুলির সংখ্যা দ্রুত কমতে শুরু করেছে। মাত্র ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে যে সংখ্যা ছিল ২২০৮,...

বহুতল সমস্যা সমাধানে সর্বদা পাশে রাজ্য সরকার: জানালেন মুখ্যমন্ত্রী

বহুতল সমস্যা সমাধানে রাজ্য সরকার তথা তৃণমূল কংগ্রেস পাশে থাকবে। আরও স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার...

রাজ্যের শিক্ষক-কর্মীদের জন্য সুখবর: এবার মিলবে অতিরিক্ত ১০% মহার্ঘ ভাতা

স্কুল শিক্ষা দফতরের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হল যে রাজ্যের সরকারি ও সরকারপোষিত স্কুল এবং সংস্কৃত টোলের শিক্ষক...

শিক্ষামন্ত্রী না থাকলে বিজয়ের গোড়ায় পৌঁছানো সম্ভব হত না: কৃতজ্ঞতা প্রকাশ পর্ষদ সভাপতির

রাজনৈতিক অভিসন্ধি থেকে যে ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, তা প্রমাণ...