ধর্মতলায় লংমার্চ-এর সমাবেশে ফের ভারত বনধের ডাক বামেদের

ধর্মতলায় লংমার্চ-এর সমাবেশে কেন্দ্র ও রাজ্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের বার্তা বামেরা। চাকরি চাই, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার বিলগ্নিকরণ চলবে না, এই দাবিতে রাজ্যে লং মার্চে নেমেছিল বাম। সমর্থন ছিল কংগ্রেসেরও।
টানা এগাররোদিনের পথ চলা শেষে বুধবার কলকাতায় সমাবেশ হল। প্রায় ২৮৩ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে দক্ষিণবঙ্গের শ্রমিক সংগঠনের লং মার্চ বুধবার পৌঁছায় রানি রাসমণি রোডে। কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন, কর্মচারী ফেডারেশন এই সমাবেশের ডাক দিয়েছিল ।

কেন্দ্র ও রাজ্যের জনবিরোধী নীতি, অর্থনৈতিক সংকট, রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাগুলির বিলগ্নিকরণের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন সঞ্জীব রেড্ডি, তপন সেন, অতুল আঞ্জান, অশোক ধাওলে। ভয়াবহ বেকারত্ব, কর্ম সংকোচন, ছাঁটাই, ব্যাঙ্ক সংযুক্তিকরণ, কৃষিক্ষেত্রে সংকট সহ একাধিক ইস্যুতে বক্তব্য রাখেন জি দেবরাজন, অশোক ঘোষ, নীরেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ।

এমনকি  ফের ভারত বন্ধের দাবি উঠল বামেদের লং মার্চের সমাবেশে । বুধবার এই দাবি তুলল সিটু,আইএনটিইউসি-সহ ১২টি শ্রমিক সংগঠন। এদিনের সমাবেশে সিটু রাজ্য নেতৃত্বর পাশাপাশি ছাত্র-যুব, মহিলা ও অন্যান্য বামপন্থী গণসংগঠনের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।
বুধবার লং মার্চের মিছিলের শেষ দিনে
হাওড়া, শিয়ালদহ ও গড়িয়াহাট দিয়ে তিনটি মিছিল ধর্মতলায় আসে । স্তব্ধ হয়ে যাওয়া কলকাতার রাস্তা পেরিয়ে শেষ মিছিলটি যখন পৌঁছায় সমাবেশ স্থলে, তখন ঘড়ির কাঁটা ৫- এর ঘর ছুঁয়েছে। হাজির ছিলেন পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পুরুলিয়ার আদিবাসী মহিলা সমিতির সদস্যরাও।
সমাবেশে সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, কৃষক সভার সভাপতি অশোক ধাওলে বলেন, “শুধু পশ্চিমবঙ্গ বা মুম্বই নয়। এনআরসি-সহ কৃষক-শ্রমিক স্বার্থ বিরোধী কেন্দ্রীয় নীতির বিরুদ্ধেই এমন লংমার্চ আরও হবে। আগামী ৮ জানুয়ারি শুধু গ্রাম নয়, গোটা দেশে ধর্মঘট হবে। একই বক্তব্য সিটু নেতা তপন সেনের। তিনি বলেন , “সংখ্যার জোরে লোকসভা ও রাজ্যসভায় সিএবি পাশ করিয়ে নিলেও মানুষ তা মেনে নেবে না। ইতিমধ্যেই অসম, ত্রিপুরায় বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। তামিলনাড়ুতে অঙ্গনওয়াড়ি মহিলারা রাস্তায় বসে অবরোধ করছেন।”  তিনি অভিযোগ করেন , “কেন্দ্র ভুল সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দেশে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। তাই টানা কর্মসূচি চলবে। এই জন্যই ৮ জানুয়ারি দেশে সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে ।”


কংগ্রেসের পক্ষে সন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, রাজ্যে যে নৈরাজ্য চলছে তা বন্ধ করতে একযোগে লড়াই করতে হবে।


বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থা বেসরকারিকরণের বিরোধিতা সহ একগুচ্ছ দাবি নিয়ে চিত্তরঞ্জন থেকে কলকাতা পর্যন্ত ২৮৩ কিলোমিটার লংমার্চের আয়োজন করা হয়েছিল। বাম শ্রমিক সংগঠনগুলির পক্ষ থেকে ৩০ নভেম্বর রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে যাত্রার সূচনা হয়েছিল ।

 
Previous articleছক্কা হাঁকিয়ে রেকর্ডবুকে ‘হিটম্যান’
Next articleসব দেশের মুসলিমদের আশ্রয় দেওয়া সম্ভব নাকি! জবাবি ভাষণে অমিত