তিন দলের অবস্থান কী হবে? টেনশনে ফেলে দিয়েছে অমিত শাহকে

নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল (সিএবি) আজ রাজ্যসভায় দুপুর ১২টায় পেশ করা হবে। তারপর সে নিয়ে হবে আলোচনা, তর্ক-বিতর্ক। রাতে ভোটাভুটি। আপাতত সংখ্যাতত্ত্বের দিক দিয়ে বিজেপি নিশ্চিন্ত থাকলেও বেশ কয়েকটি দলের অবস্থান নিয়ে কার্যত সন্দেহের বাতাবরণ রয়েছে বিজেপিতে। ফলে টার্গেট ১২১-এর থেকে সামান্য এগিয়ে থাকলেও পুরোপুরি নিশ্চিত হতে পারছে না সরকারি দল।

প্রশ্ন কেন? কারণ, ইতিমধ্যেই যে তিনটি দল সিএবি নিয়ে দলের অন্দরেই বিতর্কের মধ্যে পড়েছে সে তিনটি দল, তারা হল এআইডিএমকে, জেডইউ এবং শিবসেনা। এডিএমকে দলকে রীতিমতো ধর্মসঙ্কটে ফেলে দিয়েছে স্ট্যালিনের ডিএমকে। তাদের বক্তব্য, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলে শ্রীলঙ্কা থেকে আগত তামিলদের কোনও জায়গা দেওয়া হয়নি। তামিল বিষয়টি দক্ষিণের এই রাজ্যে রীতিমতো সেন্টিমেন্টাল ইস্যু। এই ইস্যু নিয়ে ডিএমকে রাজ্যে রীতিমতো বিতর্কের ঝড় তুলেছে। জনসমর্থন হারানোর ভয় রয়েছে সরকারি দলের। এক বছর পরেই রাজ্যে নির্বাচন। ফলে এই ইস্যুতে এডিএমকে কী করবে সেটাই এখন জিজ্ঞাসা। এক্ষেত্রে দলবদ্ধভাবে ভোট হবে, না ক্রস ভোটিং হবে সে নিয়ে সন্দিহান দল।

দ্বিতীয় দলটি নীতীশ কুমার, পবন বর্মার জেডিইউ। ভোট কুশলী প্রশান্ত কুমার নীতিশের দলের অন্যতম নেতা। তিনি গতকাল সিএবি নিয়ে দলের অবস্থানের সমালোচনা করেছেন। আর এক নেতা পবন বর্মা সরাসরি বিলে সমর্থন নিয়ে দলকে কটাক্ষ করেছেন। দলের অবস্থান নিয়ে রীতিমত অন্দরে চলছে বিতর্ক। বলা যায় নীতীশের দল সিএবি নিয়ে দ্বিধা-বিভক্ত। তারা ভোট দেবেন না ভোট দান থেকে বিরত থাকবেন সেটাই শেষ মুহূর্তের জটিল অঙ্ক হতে চলেছে।

এবং অবশ্যই শিবসেনা। লোকসভা বিলের পক্ষে ভোট দিয়ে রাহুল গান্ধীর রোষাণলে পড়েছে উদ্ধব ঠাকরের দল। মহারাষ্ট্রে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করে আবার কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়া রাজ্যসভায় আদৌ সম্ভব হবে কিনা সেটা অবশ্যই আজকে বড় প্রশ্ন চিহ্ন তুলে দিয়েছে।লক্ষ্যণীয় বিষয় হলো শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউতের বক্তব্য। তিনি বলেছেন, লোকসভায় যা হয়েছে ভুলে যান! মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরেকেও বলতে হয়েছে, সিএবি নিয়ে সব বিষয়ে পরিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত এ ব্যাপারে বিজেপিকে সমর্থন করা হবে না। ফলে শেষ পর্যন্ত ভোট দিতে গিয়ে কে কোন অবস্থান নেবেন, সেই ট্র‍্যাপিজের খেলাই আজ দিনভর রাজ্যসভায় দেখার বিষয় হয়ে দাঁড়াবে। বিজেপি অবশ্য বলছে, আমরা নিশ্চিত বিল পাস হওয়ার ব্যাপারে।

Previous articleব্রেকফাস্ট স্পোর্টস
Next article১১দিনের লং মার্চ শেষে লড়াইয়ের বার্তা নিয়ে আজ সমাবেশ কলকাতায়