‘পহেলে লোগো কো লড়বাও, উসকে বাদ আসলে মুদ্দা ছুপাও।’ দিল্লির রামলীলা ময়দান থেকে এই ভাষাতেই দেশ বাঁচানোর ডাক দিলেন রাহুল গান্ধী। কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী সেই সুরে সুর মিলিয়ে বললেন, দেশের উন্নয়ন এখন অতীত। বিভেদের রাজনীতি এখন এই সরকারের আসল মুদ্দা। আর প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বললেন, দেশের মানুষ একজোট হোন। নইলে বাবা সাহেবের সংবিধান এরা ধ্বংস করে দেবে। আর প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং বলেন, দেশের অর্থনীতির বারোটা বাজিয়ে দিয়েছে এই সরকার।

শনিবার দিল্লির রামলীলা ময়দানে ভারত বাঁচাও মঞ্চ থেকে এইভাবে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করল সোনিয়া গান্ধীর নেতৃত্বাধীন কংগ্রেস। সোনিয়ার বক্তব্য, ‘সব কা সাথ, সব কা বিকাশ’ প্রতিশ্রুতি ছিল বিজেপির। কিন্তু গদিতে বসেই উল্টো পথে হাঁটা শুরু করেছে তারা।

প্রিয়াঙ্কার দাবি, এই সরকারের মানবিক মুখ নেই। ভাবাবেগকে কোনও গুরুত্বই দেয় না। বিজেপি সরকারের ছয় বছর পূর্ণ হল। অথচ কর্মসংস্থান কমছে, জিএসটির জন্য ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন শিল্প বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। ভোটের আগে স্লোগান ছিল, মোদি হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়। আর ভোটের পরে মানুষ বুঝতে পারছেন, কর্মসংস্থান, কৃষি, চাকরি সবকিছুই রসাতলে যাচ্ছে এই সরকারের দৌলতে।

রাহুল গান্ধী সুর চড়িয়ে বলেন, মোদি নিজেই একা রাতে দেশের অর্থনীতি শেষ করছেন। পাঁচশো ও হাজার টাকার নোট বাতিল করলেন। কিন্তু তাতে দেশবাসীর লাভের পরিবর্তে বিপদ বেড়েছে। সেই ধাক্কা এখনো সামলাতে পারেননি। এক সময় অর্থনীতির ৯% ছুঁয়েছিল। সেই সময় দেশের মানুষ বলছিলেন দেশ চিনের সঙ্গে পাল্লা দেবে। চিন ইন ইন্ডিয়া বলে সম্বোধনও করা হচ্ছিল। আর এখন পেঁয়াজের দাম ২০০ টাকা। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে দেশ জ্বলছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে। গুহাটিতে সফর বাতিল হয়েছে মোদি-শিনজোর। আমেরিকা-বৃটেন পর্যটকদের নিষেধ করে দিয়েছে ভারতে আসতে। বিজেপি ক্ষমতায় থাকলে দেশ এক থাকবে কি না সেটাই সন্দেহ। তাই বলছি, সকলে এখন প্রতিবাদ করুন, রাস্তায় নামুন, ভারত বাঁচান।
