তিন আন্দোলনকারীর মৃত্যু ঘিরে উত্তপ্ত লখনউ, ম্যাঙ্গালোর

নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় দেশ জুড়ে আন্দোলন প্রতিবাদের ঢেউ। পাল্টা পুলিশের লাঠি চার্জ, কাঁদানে গ্যাস, গুলি। আর তার জেরেই ধুন্ধুমার লখনউ আর ম্যাঙ্গালোর সহ দেশের ১৩টি শহর। লখনউতে ১জন এবং ম্যঙ্গালোরে ২জনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সকাল পর্যন্ত ৩জনের মৃত্যু ঘিরে উত্তাল দেশ।

পুরনো লখনউয়ের ডালিয়াগঞ্জ, হুসেনাবাদ, ছোটা ইমামবাড়া এলাকায় আন্দোলন হিংসাত্মক হয়ে পড়ে। লখনউয়ের মাদেগঞ্জে জনতা পুলিশ সংঘর্ষ বাধে। বহু গাড়িতে আগুন লাগানো হয়। এখানেই গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে মহম্মদ উকিল নামে ২৫ বছরের এক যুবকের। পরিবারের অভিযোগ, পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে উকিলের। যদিও পুলিশ বলছে বিক্ষোভের সঙ্গে এই মৃত্যুর কোনও সম্পর্ক নেই। মুখ্যমন্ত্রী যোগী মৃত্যুর তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়ে ওঠায়। অন্যদিকে ম্যাঙ্গালুরুতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন জলিল (৪৯) এবং নৌশিন (২৩)। পুলিশের দাবি বিক্ষোভকারীরা ম্যাঙ্গালুরু নর্থ থানা দখল করতে এসেছিল। বাধা দিতে গুলি চালানো হয়। আর এই গুলিতেই মৃত্যু হয়েছে দুই বিক্ষোভকারীর। বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে মোদীর গুজরাটের আহমেদাবাদে এমনকি তামিলনাড়ু চেন্নাইতে। ফলে বিক্ষোভের আগুন ক্রমশ ছড়াচ্ছে দেশের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে। সেইসঙ্গে আন্দোলনের শুরুতেই মৃত্যুর ঘটনা কেন্দ্রের দিকে অভিযোগের তীর তুলে দিল।

Previous articleঐতিহাসিক রামচন্দ্র গুহকে আটক করায় ‘বিস্মিত’ ইয়েদুরাপ্পা
Next articleগোয়েন্দা রিপোর্ট, নবান্নের আশঙ্কা এবার ভোটার তালিকা সংশোধনে কারচুপি