এবার নজর জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ বা জন্ম নিয়ন্ত্রণ। সন্তানের সংখ্যা বেঁধে দেওয়ার কর্মসূচি। এই কর্মসূচি মূলত আরএসএসের। আর সেই কর্মসূচি সফল করতেই শুরু হয়েছে গোপন প্রস্তুতি নীতি আয়োগের। শুক্রবার সেই নিয়ে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, একটি খসড়া তৈরি করা হবে, যেখানে থাকবেন বিশেষজ্ঞরাও।
কিন্তু অর্থমন্ত্রকের সমীক্ষা বলছে, আগামী কয়েকটি দশকে ভারতের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমবে। বৃদ্ধ মানুষের সংখ্যা বাড়বে। ইতিমধ্যে ১৯বছরের কমবয়সীদের সংখ্যা কমছে। অর্থাৎ অর্থমন্ত্রকই বলছে দেশের সমস্যা জনবিস্ফোরণ নয়, বয়স্কদের সংখ্যা বৃদ্ধি।
প্রধানমন্ত্রীর যুক্তি পরিবার ছোট রাখা উচিত, যাতে প্রত্যেকের জন্য শিক্ষা-স্বাস্থ্য সুনিশ্চিত করতে পারে দেশ। সমাজের একটি অংশই পরিবারের সদস্য সংখ্যা কম রাখতে পেরেছে। প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের মধ্যে দিয়েই পরিস্কার, ঘুরিয়ে তিনি বলতে চেয়েছেন, আসলে সংখ্যালঘুরাই জনবিস্ফোরণ ঘটাচ্ছে। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নীতি আয়োগের নয়া নির্দেশিকা এলে তা যে আবার নতুন করে বিতর্ক তৈরি করবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।