অমিত শাহের পদত্যাগের দাবি তুলে ৮ জানুয়ারি ভারত বনধ-এর ডাক কংগ্রেসের

“পরস্পর বিরোধী কথা বলছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। একজন রামলীলা ময়দানে দাঁড়িয়ে বলছেন NRC হবে না। আর একজন পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে বলছেন NRC হবেই। দেশের প্রধান হয়ে প্রধানমন্ত্রী যেটা বলবেন সেটাই ধরা হবে। আর মিথ্যা বলার জন্য পদত্যাগ করতে হবে অমিত শাহকে”। বৃহস্পতিবার এক সাংবাদিক বৈঠকে এমন দাবি তুললেন, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র।

পাশাপাশি প্রদেশ সভাপতি জানান, শুক্রবার NRC-NPR ও CAA বিরোধী মহামিছিল করবে কংগ্রেস। বামেদের সঙ্গে যৌথভাবে এই মিছিল হবে সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে মহাজাতি সদন পর্যন্ত। যেখানে দুই দলের রাজ্যের শীর্ষস্থানীয় নেতৃত্ব এই মিছিলে পা মেলাবেন। একইসঙ্গে সোমেন মিত্র জানিয়ে দেন, আগামী ৮ জানুয়ারি বামেদের সঙ্গে যৌথভাবে ভারত বনধ করবে কংগ্রেস।

এরপর বিজেপিকে একহাত নিয়ে সোমেন মিত্র বলেন, “যে নাগরিকরদের ভোটে কেন্দ্রের সরকার তৈরি হয়েছে, তারাই যদি এখন নাগরিক না হয়, তাহলে এই সরকারও অবৈধ সরকার। আর সেই অবৈধ সরকারের প্রধান হয়ে মোদীর কোনও অধিকার নেই মানুষকে নির্দেশ দেওয়ার।”

এখানেই শেষ নয়। কেন্দ্রীয় সরকারের দ্বিচারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বলেন, “এখন প্রধানমন্ত্রী বলেছেন ২০১৪ সাল থেকে নাকি NRC-এর ব্যাপারে কোনও কথা আলোচনা হয়নি। তাঁদের এই দ্বিচারিতা মানুষের মনে ভয়ের সঞ্চার করছে। মনে রাখা দরকার ভারত ধর্ম নিরপেক্ষ দেশ। CAA-তে কেন মুসলিমদের বাদ দেওয়া হলো? কংগ্রেস জন্মলগ্ন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির জন্য লড়ছে। আগামীতেও লড়বে।”

দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মিথ্যা-প্ররোচনামূলক কথা বলে মানুষকে বিপথে চালিত করছে বলেও অভিযোগ করেন সোমেন মিত্র। তাঁর কথায়, “আধার-রেশন-ভোটার কার্ড যদি নাগরিকত্বের প্রমাণ না হয়, তাহলে অমিত শাহকেই বলতে হবে কোনটা প্রমান পত্র?”

প্রদেশ সভাপতির সুরে সুরে মিলিয়ে কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ প্রদীপ ভট্টাচার্য বলেন, “NRC-NPR আর CAA-এর নাম করে বিজেপি বিরাট গেম প্ল্যান করছে। বিজেপি ভারতের ১৩০ কোটি মানুষকে নিয়ে খেলছে। বিশেষ একটি সম্প্রদায়ের রাষ্ট্র বানাতে চাইছে ওরা। ভারতবর্ষের ইতিহাস যা মেনে নেয়নি। পরেও মানবে না।”

প্রদীপবাবু অভিযোগ তুলে বলেন, “এখন NPR নিয়ে যেসব তথ্য চাইছে, সেগুলো আগে NPR-এ হয়নি। এরা শুধু মুসলিম নয়, বাংলাকে-বাংলার মানুষকে ক্ষতিগ্রস্ত করার পরিকল্পনা করছে। দেশভাগের সময় যেসব উদ্বাস্তু এসেছিল, তারা কীভাবে বাবা-মায়ের জন্মস্থান, জন্মভূমির সার্টিফিকেট দেবেন। প্রধানমন্ত্রী-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিজেরাও তা দিতে পারবে না।”

আরও পড়ুন-“ডিটেনশন ক্যাম্প নিয়ে অসত্য কথা বলছেন”, মোদিকে তীব্র আক্রমণ রাহুল গান্ধীর

 

Previous articleনাম না করে পিকে’কে “ভোট ব্যবসায়ী” বলে কটাক্ষ সোমেনের
Next articleবাইকে KP লিখে ঘুরছিল বাইক চোর! তারপর যা হল