মোদির পাঁচ বছরে সবচেয়ে বেশি সাংবাদিক খুন, যোগীর রাজ্য শীর্ষে

চমকে দেওয়ার মতো পরিসংখ্যান। এবং আশঙ্কার মতো পরিস্থিতি। মোদি জমানায় বিগত পাঁচ বছরে সাংবাদিক খুন হয়েছেন ৪০জন, আক্রান্ত ১৮৯জন। গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভের এটাই এখন পরিস্থিতি। ঊর্বশী সরকার আর গীতা শেশু, এই দুই সাংবাদিকের তৈরি ঠাকুর ফাউন্ডেশনের সমীক্ষা থেকে এই ভয়াবহ তথ্য উঠে এসেছে। তাঁরা প্রায় মাস ছয়েক ধরে তথ্য সংগ্রহ করে যে রিপোর্ট পেশ করেছেন, সে নিয়ে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে সংবাদ মাধ্যমে।

রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, ২০১৪-১৯ পর্যন্ত এই পাঁচ বছরে ১৯৮জন সাংবাদিকের উপর হামলা হয়েছে। আর শুধু ২০১৯-এ এই আক্রান্তের সংখ্যা ৩৬। ঊর্বশী বলছেন, তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে আমরা দেখেছে প্রতি বছর এই সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছে। সবচেয়ে বেশি যোগীর রাজ্য উত্তরপ্রদেশে। মাফিয়া, ব্যবসায়ী আর রাজনৈতিক নেতারা এই আক্রমণের পিছনে ছিল। খুন হওয়া ৪০জন সাংবাদিকের মধ্যে ৩৬জন খুন হয়েছেন রাস্তায় নেমে পেশার দায়িত্ব পালন করার সময়তেই। এবং আশ্চর্যের হলো, এতো সাংবাসিক খুনের পরেও একজনেরও পরিবার বিচার পায়নি। ৬৩টি ঘটনার মধ্যে পুলিশ এফআইআর নিয়েছে মাত্র ২৫টি ক্ষেত্রে। তদন্ত সামান্য এগিয়েছে ৭টি মামলায়। কিন্তু চার্জশিটের পর মামলাগুলি আর এগোয়নি। ১৮টি মামলা ফাইলবন্দি। ঊর্বশীর বক্তব্য, এই ঘটনাই প্রমাণ করছে, চক্রান্তকারীরা কতখানি শক্তিশালী। আর হতাশার বিষয় হলো, যে সংবাদ মাধ্যমে প্রয়াত সাংবাদিকরা কাজ করতেন, সেই হাউসগুলির মামলা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে ভূমিকা খুবই নেতিবাচক। এছাড়া এই সময়ে সবচেয়ে আতঙ্কের হলো সোশ্যাল মিডিয়ার কারণে ভুয়ো খবর বেড়ে গিয়েছে। আর তাতে চাপ বাড়ছে সাংবাদিকদের উপর। সেই সঙ্গে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে সাংবাদিকদের উপর আক্রমণ আরও বেড়ে গিয়েছে।

Previous articleআন্দোলনের আঁচে জ্বলে যাওয়া ট্রেন ফিরল নবরূপে
Next articleবিজেপির নতুন রাজ্য সভাপতির নাম ঘোষণা! পরিচয় করে নিন