Thursday, November 6, 2025

CAA-প্রতিবাদে নেই পিসি-ভাতিজা, দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন একা প্রিয়াঙ্কা, কৌতূহল চরমে

Date:

Share post:

নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে নিজেদের রাজ্যে তুমুল আন্দোলনে নেমে পড়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, পিনারাই বিজয়ন, অমরিন্দর সিং-রা।

ওদিকে, নিজের গ্ল্যামার আর দলের সংগঠনের জোরে সরকারকে কার্যত একাই নাজেহাল করে বারবার উত্তরপ্রদেশে ছুটে যাচ্ছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। বসে নেই দিল্লির আপ-ও৷

NRC-CAA যখন গোটা দেশের বিরোধী শিবিরে আচমকাই বাড়তি অক্সিজেন দিয়ে চলেছে, সেই আবহেও কার্যত অদৃশ্য “পিসি-ভাতিজা”,সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদব এবং বহুজন সমাজ পার্টির মায়াবতী৷ এতটাই অন্তরালে যে, ঝাড়খণ্ডে হেমন্ত সোরেনে শপথ- মঞ্চের মেগা- বিরোধী শো-তেও তাঁরা গরহাজির৷ কোথায় তাঁরা? কেন সামনে আসছেন না?
রাজনৈতিক মহল এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে৷
তুমুল জল্পনা, তাহলে কি CBI দেখিয়েই ঘরবন্দি করে রাখা হয়েছে ওই রাজ্যের প্রাক্তন দুই মুখ্যমন্ত্রীকে ?
উত্তরপ্রদেশে এখনও এই দু’দলের প্রভাব অনেকখানি৷ তবুও গত এক মাস ধরে CAA-র বিরুদ্ধে স্রেফ রুটিন বিবৃতি দেওয়া ছাড়া মায়াবতী- অখিলেশকে পথে দেখা যাচ্ছেনা৷ এই দুই নেতা-নেত্রীর এ ধরনের আচরন স্বাভাবিক নয় বলেই সংশ্লিষ্ট মহলের ধারনা৷ বুধবার CAA-র প্রতিবাদে সমাজবাদী পার্টি সাইকেল র‌্যালির আয়োজন করেছিলো। অখিলেশ যাদবকে সেই র‌্যালিতে দেখা যায়নি৷ তিনি শুধুই পতাকা নাড়িয়ে ওই মিছিলের সূচনা করেছেন৷

কেন কোথাও নেই দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী? তাঁদের এই “এড়িয়ে চলা” মানসিকতার পিছনে CBI-এর ভূমিকা কতখানি? সম্প্রতি CBI যমুনা এক্সপ্রেসওয়ে তৈরির জন্য জমি কেনায় অনিয়মের অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে৷ এই অভিযোগের সঙ্গে নাম জড়িয়েছে মায়াবতী ও অখিলেশ, দু’জনেরই। জল্পনা, সেই কারনেই কি তাঁরা নীরব, চুপচাপ রয়েছেন ওঁরা। উত্তর প্রদেশের বিরোধী শিবির বলছে, একা প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকেই ঠেকাতে ব্যর্থ হচ্ছে যোগী সরকার, এর সঙ্গেই রাজ্যের প্রধান দুই বিরোধী শক্তির দুই সুপ্রিমো একসঙ্গে বা আলাদাভাবে মাঠে নামলে ত্রাহি ত্রাহি রব উঠতে পারতো যোগী প্রশাসনের গলায়। তেমন পরিস্থিতি যাতে না হয়, সেকারনেই কি CBI-কে সক্রিয় করে মায়া- অখিলেশকে ঘরে তুলে দিয়েছেন আদিত্যনাথ ?

আর মায়া-অখিলেশের এই চরম দুর্বলতার সুযোগ একশ’ শতাংশ কাজে লাগিয়ে ফেলেছেন AICC-র উত্তর প্রদেশের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী৷ উত্তরপ্রদেশ দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন প্রিয়াঙ্কা। তাঁর এই সক্রিয়তায় বাড়তি অক্সিজেন পেয়েছেন হতাশ হয়ে থাকা কংগ্রেস কর্মীরা। BSP এবং SP-র রাজ্যনেতারাও হতাশ, ‘‘যেখানে আমরা যোগীকে নাস্তানাবুদ করতে পারতাম, সেখানে একাই প্রচার পাচ্ছেন প্রিয়াঙ্কা।’’

কটাক্ষ করতে ছাড়ছেন না প্রিয়াঙ্কা গান্ধীও৷ তিনি বলেই চলেছেন, ‘‘অন্য বিরোধী দলগুলি কোথায় গেলো? তারা কি ভয় পাচ্ছে?’’ প্রিয়াঙ্কা বুঝতে পারছেন, SP-BSP-কে যোগী আদিত্যনাথ যতদিন ঘরে রাখবেন, ততই লাভ কংগ্রেসের৷ এই সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে মরিয়া প্রিয়াঙ্কা গান্ধী৷

আরও পড়ুন-কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার রদবদলে বাংলার শিকে ছিঁড়তে পারে, কণাদ দাশগুপ্তের কলম

 

spot_img

Related articles

রাত পোহালে প্রথম দফার নির্বাচন বিহারে: হিংসা ঠেকানোই চ্যালেঞ্জ

নির্বাচনের এক সপ্তাহ আগে পরপর খুন। রাজনৈতিক নেতা থেকে সমর্থক। বিহার বিধানসভা নির্বাচনে তাই শান্তি বজায় রাখাই চ্যালেঞ্জ...

বাংলা কথায় দক্ষতা, কোন পদে পান তৃপ্তি? দীপ্তিকে নিয়ে স্মৃতির ঝাঁপি খুললেন ‘অভিভাবক’ মিঠু

সন্দীপ সুর বাংলার প্রথম ক্রিকেটার হিসাবে আইসিসি একদিনের বিশ্বকাপ জিতেছেন রিচা ঘোষ কিন্তু ভারতীয় দলের আরও এক ক্রিকেটারের সঙ্গে...

দিঘার জগন্নাথ ধামে প্রথম রাস উৎসবে ভক্তদের ঢল 

দিঘার জগন্নাথ ধামে এবারই প্রথম পালিত হল রাস উৎসব, আর সেই উপলক্ষে সকাল থেকেই উপচে পড়েছে ভক্তসমুদ্র। উৎসবের...

বেঁচে আছেন, তাই জানতে পারলেন ‘দোষী নন’: আজব বিচার উত্তরপ্রদেশে

বিচারের বাণী নীরবে নিভৃতে কাঁদে। উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ের (Aligarh) মিঠু সিংয়ের জীবনে যেন সেটাই সত্যি হতে বসেছিল। অবশেষে ৫৫...