দাদা-দিদি ধরে টিকিট মিলবে না! পুর প্রতিনিধিদের বৈঠকে বার্তা অভিষেক-পিকের

পুরভোটের প্রস্তুতি শুরু করে দিল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। শুক্রবার কলকাতা পুরসভার দলীয় কাউন্সিলর এবং শহরের সমস্ত বিধায়কদের সঙ্গে এক বৈঠকে মিলিত হয়েছিলেন যুব তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ঘাসফুল শিবিরের রাজনৈতিক পরামর্শদাতা প্রশান্ত কিশোর। পুরভোটে দলীয় রণকৌশল কী হবে, মূলত সেগুলোই ছিল এদিনের আলোচ্য বিষয়।

সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, একইসঙ্গে এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রশান্ত কিশোর দলীয় সংগঠনকে মজবুত এবং আরও বেশি জনসংযোগের ওপর জোর দেওয়ার কথা বলেন। পুর ভোটকে কেন্দ্র করে কোনওরকম গোষ্ঠী কোন্দল বরদাস্ত করা হবে না বলেও নির্দেশ দেওয়া হয় বৈঠকে।

এদিন মূলত তৃণমূল কাউন্সিলরদের ক্লাস নেন পিকে। সামনে ভোট ভেবে এখনই ঝাঁপিয়ে পড়ার পরামর্শ দেন তিনি। নতুন করে জনসমর্থন তৈরি করতে কাজই যে একমাত্র হাতিয়ার, সেটা কাউন্সিলরদের বুঝিয়ে বলেন ভোট গুরু।

রাজনৈতিক মহলে মনে করা হয়, লোকসভা নির্বাচনে দলের খারাপ পারফরম্যান্সের পর প্রশান্ত কিশোর এসেই ড্যামেজ কন্ট্রোল করেন। তাঁর মস্তিষ্কপ্রসূত “দিদিকে বলো” কর্মসূচি কার্যত সুপার-ডুপার হিট। এদিন ফের প্রশান্ত কিশোর দিদিকে বলো কর্মসূচির গুরুত্ব বুঝিয়ে বলেন পুর প্রতিনিধিদের। এই কর্মসূচি জনসংযোগের ক্ষেত্রে কতটা বিজ্ঞানসম্মত সেটা ফের একবার হাতে-কলমে শিখিয়ে দেন পিকে।

তৃণমূল ভোটগুরুর কাছে যে রিপোর্ট কার্ড আছে, সেখানে জনসংযোগমূলক এই কর্মসূচিতে কারা ফাঁকি দিয়েছেন, আর কাদের পারফরমেন্স ভালো, তার নাকি স্পষ্ট উল্লেখ আছে।

তাই আসন্ন পুর নির্বাচনে পারফরমেন্সের ভিত্তিতে টিকিট দেওয়া হবে। দাদা-দিদি ধরে বা লবি করে টিকিট পাওয়ার সুযোগ থাকবে না। এমনকি, গতবারের জয়ী কাউন্সিলররাও যদি ফাঁকি দিয়ে থাকেন, তাঁরাও টিকিট থেকে বঞ্চিত হবেন।
অসমর্থিত সূত্রের খবর, এ দিনের বৈঠকে এমনটাই নাকি জানিয়েছেন পিকে। এবং তাঁর এই দৃষ্টিভঙ্গিতে সমর্থন করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

আরও পড়ুন-কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে রোজ এতজনের রান্না হত কী করে?

Previous articleকেজরির বিকল্প-মুখ বিজেপি’র নেই, কণাদ দাশগুপ্তের কলম
Next article“ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি করছেন মমতা”কটাক্ষ অমিত শাহর