শুক্রবার থেকেই পুরোপুরি বন্ধ হচ্ছে না টালা ব্রিজ

ফাইল ছবি

জীর্ণ টালা সেতুতে ৩ জানুয়ারি, শুক্রবার মধ্যরাত থেকেই যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার থেকেই পুরোপুরি বন্ধ করা হচ্ছে না টালা ব্রিজ। সম্পূর্ণ বন্ধ করার নির্দিষ্ট দিন এখনও পর্যন্ত ঠিক করে উঠতে পারেননি নবান্ন। কারণ, নতুন ব্রিজের নকশা নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিল রেল।এপরপই বৃহস্পতিবার পূর্ব রেলের দফতরে মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে একটি বৈঠক হয়।সিদ্ধান্ত হয়, রেল ও পূর্ত দপ্তরের আধিকারিকদের নিয়ে টাস্কফোর্স গঠন করা হবে। পাশাপাশি, টালা ব্রিজ ভাঙার সময় গাড়ি যাতায়াতের জন্য বিকল্প পথ হিসেবে চিৎপুর রেল ইয়ার্ড লেভেল ক্রসিং ব্যবহারে সম্মত হয়েছে রেল।
রাজ্য এর জন্য ১৪ কোটি টাকা রেলকে দিতে সম্মত হয়েছে। মুখ্যসচিবের সঙ্গে রেল কর্তাদের বৈঠকে এমনই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এর জন্য রেল তিন দিন সময় চেয়েছে। দিল্লি থেকে রেল মন্ত্রকের চূড়ান্ত অনুমোদন আসার পরই চিৎপুর রেল ইয়ার্ড লেভেল ক্রসিংয়ের বিষয়ে নিশ্চিত সম্মতি পাওয়া যাবে।
তবে যানজট এড়াতে বিকল্প হিসেবে লক গেট উড়ালপুল দিয়ে যাবে বাস। পিকে মুখার্জী রোড দিয়ে যাতায়াত করবে লরি। জানা গিয়েছে, ব্যারাকপুরের দিক থেকে কলকাতাগামী সমস্ত বাস বি টি রোড থেকে চিড়িয়ামোড় হয়ে দমদম সেভেন ট্যাঙ্ক- নর্দার্ন এভিনিউ হয়ে পাইকপাড়া মিল্ক কলোনি হয়ে বেলগাছিয়া সেতু দিয়ে শ্যামবাজারের রাস্তা ধরবে। আবার কলকাতা থেকে ব্যারাকপুরমুখী বাস শ্যামবাজার থেকে ভূপেন বোস এভিনিউ ধরে রাজবল্লভ পাড়ার পর লক গেট ব্রিজ ধরে চুনিবাবু বাজার চিড়িয়ামোড় হয়ে বিটিরোডে এসে উঠবে।
এমনকি, নতুন টালা ব্রিজ তৈরি না হওয়া পর্যন্ত ওই অঞ্চলে ছোটছোট রুটে অটো চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়া পণ্যবাহী গাড়িগুলিকে কলকাতার দিকে আসতে আর এখন নিবেদিতা সেতুতে উঠতে দেওয়া হবে না। তার পরিবর্তে পণ্যবাহী লরি দ্বিতীয় হুগলি সেতু অথবা বেলঘড়িয়া এক্সপ্রেসওয়ে ধরে যাতায়াত করতে পারবে।

Previous articleসংশোধনাগারে মহিলা ক্রিকেট ম্যাচে সক্রিয় দেবযানী-মনুয়া
Next articleনাগরিকত্ব নয়! আপনি ভিনগ্রহের প্রাণী নাকি এই বিশ্বের মানুষ, তার জন্যই আধার?