সংশোধনাগারে মহিলা ক্রিকেট ম্যাচে সক্রিয় দেবযানী-মনুয়া

জেল এখন সংশোধনাগার। সেখানে মুক্ত পরিবেশে রয়েছেন আবাসিকরা। শিখছেন লেখাপড়া, হাতে কলমের কাজ। সঙ্গে রয়েছে বিনোদনের ব্যবস্থাও। বছরের প্রথমদিন দমদম কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে মহিলা ক্রিকেট লিগের ফাইনাল হয়। যাঁরা খেলেন বা খেলার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তাঁরা কেউ সাজাপ্রাপ্ত বা কেউ বিচারাধীন বন্দি। সেই তালিকায় রয়েছে দুটি নাম দেবযানী মুখোপাধ্যায় ও মনুয়া মজুমদার সিংহ। একজন সারদা মামলায় বিচারাধীন, অন্যজন স্বামী হত্যায় দণ্ডিত আসামী। তবে, তাঁরা কেউ সরাসরি খেলেননি। মহিলা ক্রিকেট লিগের ফাইনালে ‘স্কোরার’ ছিলেন মনুয়া। আর ক্রিকেট লিগে আয়োজকের পাশাপাশি আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসার দায়িত্বে ছিলেন দেবযানী। দমদম জেল হাসপাতালে নার্স হিসেবে রয়েছেন সারদার একসময়ে সেকেন্ড-ইন-কম্যান্ড দেবযানী মুখোপাধ্যায়। খেলা চলাকালীন এক ক্রিকেটারের পায়ের নখ উপড়ে যাওয়ায় মাঠে গিয়ে তাঁর প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন তিনি।

কয়েক সপ্তাহ ধরেই দমদম কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে পুরুষ ও মহিলা বন্দিদের ক্রিকেট লিগ হয়। পয়লা জানুয়ারি হয় ফাইনাল। জেল কর্তৃপক্ষের কাছে আরও একটি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আয়োজনের আবেদন করেছেন মহিলা আবাসিকরা। সেই আবেদনকে মান্যতা দিয়ে প্রয়োজনে মহিলা বন্দিদের নিয়ে আরও একটি ক্রিকেট প্রতিযোগিতার আয়োজন করার পরিকল্পনা করেছে জেল কর্তৃপক্ষ।

২০১৭-তে বারাসতের হৃদয়পুরে খুন হন অনুপম সিংহ। সেই ঘটনায় প্রেমিক অজিত রায় সহ গ্রেফতার হন অমুপমের স্ত্রী মনুয়া মজুমদার সিংহ। গত বছর জুলাইয়ের শেষে তাঁর সাজা ঘোষণা হয়। তিনি এখন রয়েছেন দমদম কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে। রয়েছেন সারদা চিটফান্ড কাণ্ডে অভিযুক্ত দেবযানী মুখোপাধ্যায়ও। এদিন এই ক্রিকেট ম্যাচে সক্রিয় ভূমিকায় ছিলেন তাঁরা। পাচারের অভিযোগে বিচারাধীন রীনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন দল মহিলাদের ক্রিকেটে বিজয়ী হয়।
জেল সুপার দেবাশিস চক্রবর্তী বলেন, জয় বা পরাজয় বড় কথা নয়। খেলোয়াড় সুলভ মনোভাব জীবনের বিভিন্ন পর্যায়ে লড়াইয়ে সাহস জোগায়। ক্রিকেট খেলা ঘিরে সংশোধনাগারের বন্দিদের উৎসাহকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছে কর্তৃপক্ষ।

আরও পড়ুন-ভাটপাড়া নিয়ে ডিভিশন বেঞ্চে অস্বস্তিতে শাসকদল

 

Previous articleবাংলার পর এবার মহারাষ্ট্রের ট্যাবলোও বাদ প্রজাতন্ত্রের কুচকাওয়াজ থেকে
Next articleশুক্রবার থেকেই পুরোপুরি বন্ধ হচ্ছে না টালা ব্রিজ