সিমির মুখ! পিএফআই কী এবার নিষিদ্ধ হবে?

নিষিদ্ধকরণের রাজনীতি ফের শুরু কেন্দ্রের। নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতার মধ্য দিয়ে সামনে আসা পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া বা পিএফআইকে নিষিদ্ধ করার ভাবনা শুরু করল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। উত্তরপ্রদেশের যোগী আদিত্যনাথের সরকার সম্প্রতি রাজ্যে ঘটে যাওয়া হিংসাত্মক আন্দোলন নিয়ে কেন্দ্রকে একটি রিপোর্ট পাঠিয়েছে। ওই রিপোর্টে ঘটনার পিছনে পিএফআইকে কাঠগড়ায় তুলেছে উত্তরপ্রদেশ প্রশাসন। ইতিমধ্যেই সংগঠনের ২৫জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যোগীর দাবি, অবিলম্বে কেন্দ্র এই সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ করুক। একদিন আগেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের মুখেও একই কথা শোনা গিয়েছে। তিনি পরিস্কার ভাষায় জানান, রাজ্যে রাজ্যে গণ্ডগোলের পিছনে রয়েছে এই সংগঠনটি। তবে শুধু উত্তরপ্রদেশ নয়, অন্য রাজ্য থেকেও এই সংগঠনের বিপক্ষে রিপোর্ট এসেছে। এই রাজ্যে ৫জানুয়ারি, রবিবার, মুর্শিদাবাদে পিএফআই সম্মেলন করার অনুমতি চেয়েছিল। কিন্তু রাজ্য তা বাতিল করেছে। সে নিয়ে আবার বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরী রাজ্যের সমালোচনা করে পিএফআই সংগঠনের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তিনি বলেন, ওরা তো নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতা করছে। মুখ্যমন্ত্রী কেন কেন্দ্রের পথ নিচ্ছেন?

পিএফআই সংগঠনটি ২০০৬ সালে তৈরি হয়েছিল। মুসলিম সমাজের অর্থনৈতিক এবং সামাজিক উন্নতির জন্য গড়ে ওঠে। কিন্তু সংগঠনের বিরুদ্ধে হিংসাত্মক রাজনীতির অভিযোগ রয়েছে। শুধু কেরলেই ২৭টি খুনের অভিযোগ। গোয়েন্দারা বলছেন, দেশে সিমির মুখ হিসেবে কাজ করছে পিএফআই। ইতিমধ্যে ঝাড়খণ্ডে সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

Previous articleতেলের দাম দাঁড়াবে কোথায়? কপাল পুড়ছে আমজনতার
Next articleনৈহাটি বিস্ফোরণ কাণ্ড নিয়ে ঘুরিয়ে প্রশাসনের গাফিলতিকে দায়ী করলেন রাজ্যপাল