জঙ্গি হামলায় মদতের অভিযোগে ইরান শাস্তি পেলে পাকিস্তানকে ছাড় কেন? ট্রাম্পের হুমকির পর উঠছে এই প্রশ্নও

ইরানের অন্যতম শীর্ষনেতা ও কুদস বাহিনীর প্রধান কাসিম সুলেইমানিকে মার্কিন রকেট হানায় মারার পর হত্যাকাণ্ডের সমর্থনে নানারকম যুক্তিজাল সাজাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতেই ট্রাম্প সুলেইমানিকে বহু হত্যার মাস্টারমাইন্ড প্রমাণে ব্যস্ত। তবে তাঁর সাজানো যুক্তিতে পুরোপুরি ভরসা করছেন না আমেরিকারই বহু মানুষ। এঁদের মধ্যে আছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞ তথা রাজনীতিকরাও। সুলেইমানি নিধনের পর ট্রাম্পের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে যে প্রশ্নগুলি উঠছে:

1) ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্টের প্রক্রিয়া চলছে। তার আগে সন্ত্রাস নির্মূল করার ডাক দিয়ে ট্রাম্পের আগ্রাসী পদক্ষেপ কি আমেরিকার শীর্ষ পদাধিকারী হিসাবে নিজেকে অপরিহার্য প্রমাণের চেষ্টা? ইমপিচমেন্টের উদ্যোগকে গুরুত্বহীন করে দিতেই কি ট্রাম্পের যুদ্ধ-যুদ্ধ হুঙ্কার?

2) এবছর মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। ঘরোয়া ইস্যুর চেয়েও ভোটের প্রচারে কি আন্তর্জাতিক সন্ত্রাস দমনে নিজের সাফল্য তুলে ধরতে মরিয়া ট্রাম্প?

3) ইরানের মত একটি স্বাধীন, সার্বভৌম রাষ্ট্রের কর্মরত এক সেনাপ্রধানকে যুদ্ধাপরাধী বা আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী হিসাবে দেগে দিয়ে হত্যার যুক্তি সাজানো কতখানি যুক্তিযুক্ত? বিশেষত, আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদীর তালিকায় সুলেইমানির নামই ছিল না।

4) সবশেষে যে মোক্ষম প্রশ্নটি মার্কিন রাজনীতিক ও বিশেষজ্ঞরাই তুলেছেন তা হল, ইরানের কর্মরত সেনাপ্রধানকে যদি সন্ত্রাসের মদত দেওয়ার অভিযোগে মেরে ফেলা হয়, তাহলে এই একই যুক্তিতে পাকিস্তান ছাড় পায় কীভাবে? পাক জেনারেলরা যেভাবে সন্ত্রাসে মদত দিয়ে আসছেন বা আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদীদের আড়াল করছেন তার পরও কেন চুপ আমেরিকা? পাকিস্তানের তালিবানি মাস্টারমাইন্ডদের কেন ছাড় দেওয়া হচ্ছে? আফগানিস্তানে প্রায় 3500 মার্কিন সেনার মৃত্যুর জন্য দায়ী এই তালিবান ও রাওয়ালপিন্ডিতে বসে থাকা মদতদাতারা। এরপরও ইরানকে টার্গেট করলেও পাকিস্তান নিয়ে ট্রাম্পের সক্রিয়তা কোথায়? উল্টে ইমরানের দেশকে সাহায্য পাঠাচ্ছে আমেরিকা!

 

Previous articleপোস্টার-গামছা নিষিদ্ধ, কিন্তু বিরাটদের মাঠে আজ স্লোগান থামানো যাবে তো!
Next articleএবার ‘বদলা’ শুরু ইরানের, মার্কিন সেনা ঘাঁটিতে রকেট হামলা