ইনি জনতার নেতা, ইনি সাধারন মানুষের সুখে-দু:খে জড়িয়ে থাকার প্রতিশ্রুতি দিয়েই সাংসদ হয়েছেন এবং ইনি বঙ্গ- বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ৷

সোমবার দিলীপবাবু সভা করছিলেন কৃষ্ণনগরের প্রশাসনিক ভবনের সামনে৷ লোকজন তাঁর নাগরিকত্ব আইন কেন খুব ভালো, সেই বক্তৃতা শুনছিলেন রাস্তা আটকেই৷ সেই সময় একটি অ্যাম্বুল্যান্স সভাস্থলের কাছাকাছি এসে যায়। ওই অ্যাম্বুল্যান্সে এক আশঙ্কাজনক রোগী ছিলেন। দিলীপ ঘোষের সভার জেরে ওই এলাকায় তখন তীব্র যানজট৷ ফলে রোগী নিয়ে হাসপাতাল পৌঁছানোর সুযোগ পাচ্ছিল না অ্যাম্বুল্যান্সটি৷ সভার আয়োজকরাও ওই অ্যাম্বুল্যান্সটিকে রাস্তা ছেড়ে দেওয়ার চেষ্টাই করেনি।
ওদিকে, রাস্তায় এভাবে অ্যাম্বুল্যান্স আটকে পড়ার ঘটনা নজর এড়ায়নি মাইকের সামনে দাঁড়িয়ে বক্তৃতারত বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের।

কিন্তু এই জনপ্রতিনিধি মহোদয় আটকে যাওয়া রোগী-সহ অ্যাম্বুল্যান্সটিকে যাওয়ার জন্য রাস্তা করে দেওয়ার কোনও উদ্যোগই নেননি। উল্টে দিলীপবাবু মঞ্চ থেকেই মাইকে বলেন, ‘‘এখান দিয়ে যেতে দেওয়া যাবে না। লোকে রাস্তায় বসে রয়েছে। ডিসটার্ব হয়ে যাবে। ঘুরিয়ে অন্য দিক দিয়ে নিয়ে যান।’’

পথচলতি বহু মানুষ দিলীপ ঘোষের এই ভূমিকায় বিস্মিত৷ ওই অ্যাম্বুল্যান্সটিকে যাওয়ার জন্য রাস্তা করে দেওয়ার পরিবর্তে সভামঞ্চে দাঁড়িয়ে এই অমানবিক ঘটনাকে যেভাবে সমর্থন জানালেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, তার সমালোচনা হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়াতেও৷ নেটদুনিয়ায় ভাইরাল হয়ে গিয়েছে ওই ফুটেজ। বিস্মিত সবাই, একজন সাংসদ কীভাবে এমন আচরন করলেন, সেই প্রশ্নও উঠেছে৷

আরও পড়ুন-দিল্লির ভোটেও বিজেপির শোচনীয় হার, বলছে সমীক্ষা, কণাদ দাশগুপ্তের কলম
