খাস কলকাতায় থামোর্কলের বক্সের ভিতর বরফ চাপা দেহ উদ্ধার। ঘটনাটি ঘটছে রিজেন্ট কলোনিতে। ৩দিন আগে ওই বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। কিন্তু তা জানতেই পারেননি প্রতিবেশীরা। অভিযোগ, বৃদ্ধকে খুন করে বরফচাপা দিয়ে রাখতে চেয়েছিলেন তাঁর শ্যালক। প্রোমোটিং-এর জন্যেই হত্যা বলে অভিযোগ। ঘটনার তদন্তে নেমেছে যাদবপুর থানার পুলিশ।
সমীররঞ্জন শূর নামে ওই বৃদ্ধ গত কয়েক বছর ধরেই শয্যাশায়ী। তাঁর স্ত্রী-মেয়ে এইসময় আত্মীয়দের সঙ্গে পঞ্জাব বেড়াতে গিয়েছেন। সেই কারণে সমীররঞ্জন শূরকে দেখভাল করছিলেন তাঁর শ্যালক বিশ্বনাথ দাস। স্থানীয়দের অভিযোগ, বিশ্বনাথই তাঁর জামাইবাবুকে খুন করে বরফচাপা দিয়ে রেখেছিলেন। পুলিশকে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সোমবার রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ বিশ্বনাথকে বড় থার্মোকলের বক্সে বরফ ভরে ওই বাড়িতে ঢুকতে দেখেন তাঁরা। সন্দেহ হওয়ায় যাদবপুর থানায় খবর দেন তাঁরা। পুলিশ গিয়ে সমীররঞ্জনের দেহ উদ্ধার করে।

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, দিন তিনেক আগেই মৃত্যু হয়েছে সমীররঞ্জন শূরের। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। মৃতের স্ত্রী ও কন্যা কলকাতায় ফিরছেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, যে বাড়িতে সমীর থাকতেন, সেটিতে প্রোমোটিং করতে চাইছিলেন শ্যালক বিশ্বনাথ। কিন্তু তাতে রাজি ছিলেন না সমীররঞ্জন শূর। এ নিয়ে বিশ্বনাথের সঙ্গে তাঁর ঝামেলাও হয়। অভিযোগ, সে কারণেই তাঁকে খুন করা হয়েছে। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিশ্বনাথ দাস। তাঁর দাবি, রাতে সমীররঞ্জনকে খাবার দিতে গিয়ে তিনি বৃদ্ধের কোনও সাড়া পাননি। স্থানীয় এক চিকিৎসককে দিয়ে পরীক্ষা করিয়ে ডেথ সার্টিফিকেটও নেন বিশ্বনাথ। যেহেতু তাঁর দিদি ও ভাগ্নি কলকাতার বাইরে রয়েছেন, সেই কারণেই দেহ সংরক্ষণের চেষ্টা করছিলেন তিনি। যদিও স্থানীয় সূত্রে খবর, যে চিকিৎসককে বিশ্বনাথ ডেকে আনেন, তিনি হোমিওপ্যাথি ডাক্তার। ডেথ সার্টিফিকেট দেওয়ার এক্তিয়ার তাঁর আছে কি না তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয়রা। জামাইবাবুর উপর বিশ্বনাথ প্রায়ই অত্যাচার চালাতেন অভিযোগ স্থানীয়দের। প্রোমোটিংয়ের কারণেই খুন বলে অভিযোগ তাঁদের।

আরও পড়ুন-নিশ্চিন্তে থাকুন, আমি পাহারাদার হয়ে পাশে থাকব, বললেন মুখ্যমন্ত্রী
