‘ধর্মগুরুরা আইনের উর্ধ্বে নয়’, টাকা নয়ছয়ের অভিযোগে আদালতের ধমক মোদির সদগুরুকে

বেআইনি পথে টাকা তোলার অভিযোগ উঠলো মোদির সেই সদগুরু-র বিরুদ্ধে৷ CAA-এর সমর্থনে প্রচার করতে আধ্যাত্মিক সদগুরু জাগ্গি বাসুদেবের শরণ নিয়েছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

সেই সদগুরুকেই জোর ভর্ৎসনা করে কর্নাটক হাইকোর্ট বলেছে, “ধর্মগুরুরাও আইন মেনে চলতে বাধ্য। আধ্যাত্মিকতার নামে কী শুরু করেছেন আপনি?‌ স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা মানে এই নয় যে, আপনি
কোনও আইনই মানবেন না৷ রাজ্য সরকার তো আপনাকে‌ টাকা তোলার অনুমতি দেয়নি। কীসের ভিত্তিতে আপনি কৃষকদের থেকে টাকা নিচ্ছেন?‌ কে আপনাকে অনুমতি দিয়েছে?‌ কোন আইনের ভিত্তিতে এই বেআইনি কাজ করে চলেছেন?‌” মোদির সদগুরু-ই এভাবে টাকা নয়ছয়ে অভিযুক্ত হওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে৷

কিছুদিন আগে মোদি নিজের টুইটার পেজে এই আধ্যাত্মিক গুরুর একটা ইউ টিউব ভিডিও পোস্ট করেছিলেন। ওই ভিডিওতে CAA- এর পক্ষে কিছু কথা বলেছেন সদগুরু জাগ্গি বাসুদেব। সেই ভিডিও পোস্ট করে মোদি লেখেন, “শুনুন কী সুন্দরভাবে সদগুরুজি সিএএ’র সমর্থনে কথা বলেছেন। এদেশের ঐতিহাসিক সংস্কৃতি, গুরুত্ব এবং ভ্রাতৃত্ব বোধকে তুলে ধরেছেন তিনি। দেশব্যাপী যে মিথ্যা রটছে তাঁর বিরুদ্ধাচারণ করেছেন সদগুরুজি।”

CAA-নিয়ে মোদির টুইট-বিতর্কের পর ফের নতুন বিতর্কে জড়ালেন সদগুরু ওরফে জাগ্গি বাসুদেব। তিনি ঈশা ফাউন্ডেশনের কর্ণধার।
তাঁর বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগে জোর ধমকও খেলেন কর্নাটক হাইকোর্টের কাছে। সদগুরু-র বিরুদ্ধে অভিযোগ, ‘‌কভারি কলিং’‌ নামে একটি প্রকল্পের জন্য তাঁর সংস্থা নাকি রাজ্যের কৃষকদের থেকে টাকা নিয়েছে। এই অভিযোগের ভিত্তিতে কর্নাটক হাইকোর্টে মামলা করা হয়। মামলার হলফনামায় বলা হয়েছে, কভারি বেসিনে ২৫৩ কোটি চারা রোপণ প্রকল্প নিয়েছে ঈশা ফাউন্ডেশন। আর প্রতি চারার জন্য তাঁর সংস্থা ৪২ টাকা নিয়েছে সাধারণ মানুষ এবং কৃষকদের থেকে। আর এভাবেই নাকি মোট ১০,৬২৬ কোটি টাকা তোলা হয়েছে। বেআইনি পদ্ধতিতে এইভাবে মানুষের থেকে কি টাকা নেওয়া যায় ? প্রশ্ন তোলা হয় আদালতের কাছেই৷

সেই মামলার শুনানিতেই হাইকোর্টের কাছে কড়া ধমক খেলেন ধর্মগুরু। কর্নাটক হাইকোর্ট সদগুরুকে বলেছে, “ধর্মগুরুরাও আইন মেনে চলতে বাধ্য৷ কী শুরু করেছেন আপনি?‌ রাজ্য সরকার আপনাকে‌ টাকা তোলার অনুমতি দেয়নি। তাহলে কীসের ভিত্তিতে আপনি টাকা তুলছেন?”

একইসঙ্গে হাইকোর্ট সদগুরু জাগ্গি বাসুদেবকে নির্দেশ দিয়েছে, কী প্রক্রিয়া মেনে সাধারণ মানুষের থেকে টাকা নেওয়া হয়েছে, তার হিসাব–নিকেশ, সবকিছু জানাতে হবে আদালতকে৷

ওদিকে কর্নাটক সরকারও আদালতে জানিয়ে দিয়েছে, সরকার ঈশা ফাউন্ডেশনকে কোনও অনুমতিই দেয়নি।

আরও পড়ুন-ধর্মঘটকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত সুজাপুর, একের পর এক পুলিশের গাড়িতে আগুন!

Previous articleধর্মঘটকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত সুজাপুর, একের পর এক পুলিশের গাড়িতে আগুন!
Next articleদেখুন সেই ভয়াবহ ড্রোন হানার ভিডিও